মাহফুজ নান্টু:
প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই গোপনে মাহফিলে গিয়ে বক্তব্য দেয়ার অভিযোগে খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ও হেফাজত নেতা মাওলানা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।
মামলায় মামুনুলসহ ছয় জনকে আসামি করা হয়েছে।
১৭ ডিসেম্বর কুমিল্লার চান্দিনা থানায় মামলাটি করা হয়। তবে রোববার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ১৫ ডিসেম্বর চান্দিনা থানার জোয়াগ পশ্চিমপাড়া এলাকায় দুই দিনব্যাপী ইসলামী মহাসম্মেলনের আয়োজন করা হয়। মাহফিলের দ্বিতীয় দিনে মামুনুল হকের যাওয়ার বিষয়টি পরিকল্পিতভাবে গোপন রাখেন আয়োজকরা।
এ বিষয়ে চান্দিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সামছুদ্দিন মোহাম্মদ ইলিয়াস জানান, করোনা মহামারির কারণে গণজমায়েত নিষিদ্ধ করেছে সরকার। তার মধ্যে প্রশাসনের কাছে তথ্য পোপন করে মাহফিলের আয়োজন করেছেন অভিযুক্তরা।
তিনি বলেন, ওই মাহফিলের পোস্টার ও ব্যানারে মামুনুল হকের নাম ছিল না। কিন্তু আয়োজকদের যোগসাজশে মাহফিলে এসে মামুনুল রাষ্ট্রবিরোধী অপপ্রচার, উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন।
এ কারণে মাহফিলের আয়োজক মোশাররফ হোসেন মাহমুদকে এক নম্বর ও হেফাজত নেতা মামুনুল হককে দুই নম্বর আসামি করে মামলা করা হয়েছে।
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে মামুনুলের বক্তব্য দেয়ার বিষয়টি প্রথম জানান বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমান চৌধুরী।
কুমিল্লার ওই মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে গিয়েছিলেন জানিয়ে তিনি বলেন, রাত ১১টার দিকে বক্তব্য শেষে তিনি ঢাকায় রওনা হন। পৌঁছানোর পর জানতে পারেন, সম্মেলনের শেষ দিকে মামুনুলও সেখানে গিয়েছিলেন; বক্তৃতাও দেন।
এদিকে প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া কীভাবে বিতর্কিত এ মাওলানা ওয়াজ মাহফিলে গেলেন, বক্তব্য দিলেন তা নিয়ে শুরু হয়েছে সমালোচনা।
বিষয়টি নিয়ে চান্দিনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিভীষণ কান্তি দাশ বলেন, আয়োজকরা মামুনুল হকের যাওয়ার বিষয়টি গোপন রাখেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
রাজধানীর ধোলাইপাড়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য নির্মাণ হলে আরেকটি শাপলা চত্বর তৈরির হুমকি দিয়ে তোপের মুখে পড়েন হেফাজত নেতা মামুনুল। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও হয়েছে।
সমালোচনার মুখে নিজের অবস্থান থেকে সরে এলেও মাহফিল করতে গিয়ে দেশের বেশ কয়েকটি স্থানে প্রতিরোধের মুখে পড়েছেন তিনি। বক্তব্য না দিয়ে চলে আসতে হয়েছে তাকে।
এদিকে দেশব্যাপী সমালোচনার মুখে পড়লেও দলে মামুনুলের অবস্থান আছে আগের মতোই। তাকে সেক্রেটারি করে হেফাজতে ইসলামের ঢাকা মহানগর কমিটি পুনর্গঠন করা হয়েছে।
Leave a Reply