অনলাইন ডেস্ক:
কুমিল্লা নগরীর ২৪নং ওয়ার্ডের আওতাধীন কোটবাড়ি ল্যাবরোটরি স্কুলে হোষ্টেল ভবন থেকে ৬ষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্রের ঝুল ন্ত লা শ উদ্ধার করেছে সদর দক্ষিণ থানা পুলিশ।
নি হত ওই ছাত্রের চাচা ওমর ফারুক, ভাই ও পরিবারের সদস্যরা জানান, আমরা খবর শুনে ঘটনাস্থলে এসে অন্য ছাত্রদের কাছ থেকে জেনেছি, বৃহস্পতিবার সকালে ক্রিকেট বল নিয়ে ছাত্রাবাস থেকে খেলতে বের হয় সাব্বির। আর খেলতে যাওয়াকে কেন্দ্র করে ছাত্রাবাসের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ তাকে অনেক মারধর করেছে। মারধরের পর তাকে বলেছে জামা-কাপড় ব্যাগে ভরে বাড়ি চলে যেতে। এরপর থেকেই তাকে ছাত্রাবাসে দেখতে পায়নি সহপাঠীরা। পরে বিকেলে তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায় অন্য ছাত্ররা।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তানভীর সালেহীন ইমন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্থানীয় ফাঁড়ী পুলিশ। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় খেলতে গিয়ে হোস্টেল ভবনের পেছনে ছাদের বেলকনির বাইরে পাইপের সাথে ঝুল ন্ত লা শ দেখতে পায় সহপাঠীরা। তবে এসময় হোষ্টেল সুপার মোজাম্মেল হক হোষ্টেলে ছিলেন না বলে জানা গেছে।
আপন বড় ভাই একই স্কুলের শিক্ষার্থী ৯ম শ্রেণীর ছাত্র শাখাওয়াত হেসেন সৈকত পরিক্ষা কেন্দ্রে ছিলো বলে জানান।
ঘটনার দিন সবার সাথে সকালেও হাসিখুশি কথা বলেছে বলে জানায় হোস্টেলের শিক্ষার্থীরা। সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে প্রেরণ করেছে পুলিশ। পিএসসি পরিক্ষা শেষে ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তির প্রস্তুতি নেয়া সাহাদাৎ হোসেন সাব্বিরের মৃ ত্যু হ ত্যা নাকি আ ত্মহ ত্যা তা নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে চলছে নানান কানাঘুঁ ষা।
ঘটনার সময় হোষ্টেল কক্ষে কেউ ছিলো কি না সে বিষয়ে উপস্হিত কেউ কিছু বলতে পারেনি। হোষ্টেল সুপার সহ সকলেই সাব্বিরকে আদর করতেন বলে জানায় সহপাঠীরা। শোকে পাগল প্রায় বাবা মা ছোট ছেলের লা শ দেখে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পরেন।
নি হত সাহাদাৎ হোসেন সাব্বির জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা যশপুর গ্রামের কৃষক হুমায়ুন কবিরের ছোট ছেলে। ছেলের এ খবর পেয়ে মা বাবা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। আত্মহ ত্যা নাকি পরিক ল্পিত হ ত্যাকা ন্ড এ নিয়ে এলাকায় নানা কানাঘুঁষা থাকলেও, আসল রহস্য উদ্ধারে কাজ করছে পুলিশ। তদন্ত শেষ হলে এবং ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পরই আসল ঘটনা জানা যাবে বললেন তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসা কুমিল্লা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) তানভীর সালেহীন ইমন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানা কোন মামলা দায়ের করা হয় নি বলে জানান সদর দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কোটবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ওসি নাজমুল হুদা বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ঘটনাটি আ ত্মহ ত্যা। তবে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে মৃ ত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। আর খেলতে যাওয়াকে কেন্দ্র করে সকালে ছাত্রাবাস কর্তৃপক্ষ তাকে শাসন করেছে বলে যেই খবর পাওয়া গেছে, সেটাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্তে ঘটনার সত্যতা পেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
Leave a Reply