( জাগো কুমিল্লা.কম)
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চূড়ান্ত প্রার্থীদের আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দেয়া শুরু করেছে আওয়ামী লীগ।আজ রবিবার সকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে এ চিঠি তুলে দেয়া হচ্ছে। যে ধারাবাহিকতায় আওয়ামী লীগের বর্তমান এমপি ও পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল (লোটাস কামাল) কুমিল্লা ১০ আসনের একক প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন চূড়ান্ত হয়েছে।
নাঙ্গলকোট, সদর দক্ষিণ ও লালমাই এলাকা নিয়ে গঠিত এ আসনে ভোটার সংখ্যা ৫ লাখ ২১ হাজার ভোটার। এ আসনে এখানে বিএনপি থেকে দলের চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা সাবেক এমপি মোঃ মনিরুল হক চৌধুরী, সাবেক এমপি আবদুল গফুর ভূঁইয়া, নাঙ্গলকোট উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়া, যুক্তরাজ্য বিএনপির উপদেষ্টা সলিসিটর মো:ইকরামুল হক মজুমদার, জামায়াতের ড.দেলোয়ার হোসেন। ছাত্র শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইয়াসির আরাফাত, বাংলাদেশ লেবার পাটির মহাসচিব হামদুল্লাহ মেহেদীর নাম আলোচনায় রয়েছে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশর চুড়ান্ত প্রার্থী সৈয়দ মোহাম্মাদ জামাল উদ্দীন।
৯৮৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত মোট ৫টি সংসদীয় নির্বাচন ওই দু’টি পৃথক আসনে অনুষ্ঠিত হয়। ১/১১ সরকারের সময় কুমিল্লা-৯ (সদর দক্ষিণ উপজেলা) আসনকে ৩ খণ্ডে বিভক্ত করে এলাকাগুলো পার্শ্ববর্তী ৩টি আসনের সঙ্গে সম্পৃক্ত করা হয়। ওই সময় জেলার ১২টি আসনের মধ্যে কুমিল্লা-৯ (সদর দক্ষিণ) আসনটি একেবারে বিলুপ্ত করে ১১টি আসন করা হয়। দশম সংসদ নির্বাচনের আগে ২০১৩ সালে পুনরায় সদর দক্ষিণ ও নাঙ্গলকোট নিয়ে প্রায় ৯০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এ আসন সীমানা নির্ধারণ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন।
সূত্র জানায়, ওই গেজেটকে বেআইনি চ্যালেঞ্জ করে একই সালে হাইকোর্টে রীট মামলা দায়ের করেন নাঙ্গলকোট আসনের সাবেক এমপি আবদুল গফুর ভুঁইয়া। গত ২০ মার্চ ওই মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। রায়ে নাঙ্গলকোট সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণের ক্ষেত্রে আইনানুগ কর্তৃত্ব ব্যতীত করা হয়েছে বিধায় এর কোনো আইনগত কার্যকারিতা নেই বলে উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশনকে আইন অনুসারে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। বর্তমানে নাঙ্গলকোট, সদর দক্ষিণ ও লালমাই উপজেলাকে নিয়ে গঠিত হয় এ আসনটি। জেলার সবচেয়ে বড় আসন এটি, দুই আসনের সমতুল্য ভোটার।
Leave a Reply