অনলাইন ডেস্ক”
বাংলাদেশে আঘাত হানার সময় কুমিল্লাতে তেমন প্রভাব পড়েনি ঘুর্ণিঝড় বুলবুল । তবে এটি তার অবস্থান থেকে ক্রমান্বয়ে উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে কুমিল্লার দিকে এগিয়ে আসছে । কুমিল্লা আসা পর্যন্ত অনেকটা দুর্বল হয়ে যাবে ।কোন প্রকার ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা নেই । প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। রবিবার বিকেল ৪ টা থেকে কুমিল্লা নগরীসহ সকল উপজেলার ঝড়োহাওয়া শুরু হয়েছে। তবে এর মাত্রা বেশি নয়। তবে বিদ্যুৎ বিছিন্ন রাখা হয়েছে।
কুমিল্লা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: ইসমাইল ভূঁইয়া জানান, রবিবার বিকাল ৪ :৪৫ মিনিটি কুমিল্লায় সর্ব্বোচ্চ প্রায় ৪৬ কি:মি বেগে ঝড়ো হাওয়া রেকর্ড করা হয়েছে।বুলবুলের প্রভাবে আগামী ২৪ ঘন্টায় কুমিল্লায় ঝড়ো হাওয়া সহ ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। গোপালগঞ্জ ও ঢাকার পাশ ঘেসে কুমিল্লা দিয়ে বুলবুল ঘুর্ণিঝড়টি অতিক্রম করতে পারে । তবে ঘুর্ণিঝড়টি যদি শক্তি বিদ্যামান থাকে তাহলে তীব্র ঝড়ো হাওয়া ও ভারী বর্ষণ হবে। বর্তমান ঘুর্ণিঝড়টি স্থল নিম্মচাপ হিসেবে পরিনত হয়েছে।
তিনি আরও জানান,দুপুর থেকে কুমিল্লায় তার প্রভাব পড়েছে। কুমিল্লা বৃষ্টির পরিমান ও বেড়েছে । বর্তমানে ২৬-২৭ কি:মি গতিতে বাতাস বয়ে যাচ্ছে । ধীরে ধীরে বাতাসের গতিবেগ ৩০-৪০ কি:মি অতিক্রম করতে পারে। বুলবুল অতিক্রম করলেও আজ ও আগামী দুইদিন বৃষ্টি ও আকাশ মেঘলা থাকবে। তবে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হবে। কুমিল্লা প্রতিটি উপজেলা বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
টানা বৃষ্টিতে দুর্ভোগে পড়েছে কুমিল্লা বাসী। কুমিল্লা নগরীরর বিভিন্ন এলাকার অলি-গলিসহ সড়কে পানি জমে কাঁদা-পানিতে একাকার হয়ে গেছে। টানা তিন দিন ধরে থেমে থেমে, কখনও গুঁড়ি গুঁড়ি আবার কখনও হালকা বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টির কারণে সরকারি ছুটির দিনেও বিভিন্ন প্রয়োজনে মানুষ রাস্তায় নেমেই ভোগান্তিতে পড়ে। কুমিল্লা নগরীরর বেশি কিছু সড়কে সংস্কার কাজ চলমান থাকায় বৃষ্টির কারণে যানবাহল চলাচলে ভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে।
হিমেল বাতাসের সাথে বৃষ্টিতে নগরবাসীর স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়। অন্যান্য ছুটির দিন বিভিন্ন শপিং মল ও মার্কেটে বিপুল সংখ্যক ক্রেতার সমাগম হলেও বিরূপ আবহাওয়ার কারণে ক্রেতাদের উপস্থিতি ছিল তুলনামূলক কম। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির কারণে অনেকেই ঘর থেকে বের হননি।
থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হওয়ায় নগরীর প্রধানসড়ক বিভিন্ন রাস্তাঘাট স্যাঁতস্যাঁতে ও কর্দমাক্ত হয়ে ওঠে। জীবিকার তাগিদে কিংবা ব্যক্তিগত কোনো কাজে যারা ঘরের বাইরে বের হয়েছেন তারা স্বাচ্ছন্দ্যে পথ চলতে পারলেও ছাতা ছাড়া যারা বের হয়েছিলেন তারা পড়েন বিপাকে। অনেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে ভিজেই গন্তব্যের দিকে যেতে দেখা গেছে।
কুমিল্লা নগরীরর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বিরূপ আবহাওয়ার কারণে রাস্তাঘাটে রিকশা, সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালকরা অতিরিক্ত ভাড়া হাঁকছেন। ফুটপাথের হকারদের বেচাকেনায় প্রভাব পড়ে। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির কারণে ক্রেতা কম এবং পণ্য ভিজে যাওয়ার ভয়ে অনেকেই দোকান খোলেনি। যারা খুলেছেন তারাও দোকানপাট গুটিয়ে বৃষ্টি থামার অপেক্ষায় থাকতে দেখা গেছে।
Leave a Reply