কুমিল্লা সদর হাসপাতালে রোগী রেখে গান বাজিয়ে ঘুমাচ্ছেন ডাক্তার; ভিডিও ভাইরাল
প্রকাশ কালঃ
শুক্রবার, ৮ মার্চ, ২০১৯
৩২১৭
অনলাইন ডেস্ক: কুমিল্লায় সরকারি জেনারেল হাসপাতালে রোগী রেখে চেয়ারে হেলান দিয়ে চিকিৎসক ঘুমাচ্ছেন। এই সময় তার কম্পিউটারে বাজছে ‘অনেক সাধনার পরে আমি পেলাম তোমার মন’ গানটি। চিকিৎসকের ঘুমানোর এই ভিডিওটি এখন ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে পড়েছে।
ভিডিওয়ের সাথে লেখা রয়েছে-‘প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি! এই হল কুমিল্লা সদর হাসপাতালের (জেনারেল হাসপাতাল) চিকিৎসা ব্যবস্থা। গতকাল বুধবার (৬ মার্চ) দুপুর ১২ টার দিকে সদর হাসপাতালের ১৪ নং কক্ষে ডাঃ জহিরুল হকের কাছে আমার মাকে নিয়ে যাই গলায় সমস্যার চিকিৎসা করার জন্য। কক্ষে ডুকে দেখি তিনি ঘুমাচ্ছেন এবং কম্পিউটারে (অনেক সাধনার পরে আমি পেলাম তোমার মন) এই গানটি বাজছে। মেডিকেলের ছাত্রছাত্রীরা নিজেরা গল্প আর সেল্ফি তোলায় ব্যস্ত। অন্যদিকে, রোগীরা বাইরে বসে আছেন। যারাই আসছে তাদের বলে দিচ্ছেন বাইরে বসেন। রোগীরা বলছে তিনি ঘুমাচ্ছেন, আমাদের কখন দেখবে? ছাত্ররা উত্তর দিচ্ছেন, অপেক্ষা করেন উনি রেস্ট নিচ্ছেন!
এই যাবত কোন প্রাইভেট হাসপাতালে কি দেখেছেন ১৫ জন রোগী দেখার পরে ৩০/৩৫ মিনিট ঘুমাতে। সেখানে ঘুম আসেনা….কারণ, সেখানে টাকার গন্ধ?
এ বিষয়ে অভিযুক্ত চিকিৎসক ডাঃ জহিরুল হক বলেন, ‘আমার একটু চোখ লেগে এসেছিলো। দায়িত্বের প্রতি আমি কখনও অবহেলা করি না। ওয়ার্ড মাস্টার নজরুল ইসলাম ভিডিও করার সাথে জড়িত। সে আমার অফিসেও হামলা করেছিলো। আমি এই বিষয়ে জিডি করবো।’
ওয়ার্ড মাস্টার নজরুল ইসলাম বলেন,‘তিনি রোগী না দেখে ঘুমিয়েছেন। এটা কেউ ভিডিও করে ফেসবুকে ছেড়ে দিয়েছে। আমি কেন আমার হাসপাতালের বিরুদ্ধে প্রচার করবো। তার অভিযোগ সঠিক নয়।’
কুমিল্লার সিভিল সার্জন ডা. মুজিবুর রহমান বলেন,‘কারো কাজের জন্য কুমিল্লার স্বাস্থ্য বিভাগের বদনাম হতে দেওয়া যায় না। ভিডিওর বিষয়ে তাকে শোকজ করা হয়েছে। শোকজের জবাব পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’-সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন
প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করছি! এই হল কুমিল্লা সদর হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থা। আজকে দুপুর ১২ টার দিকে সদর হাসপাতালের ১৪ নং কক্ষে ডঃ জহিরুল হক (এম.বি.বি.এস) সিনিয়র কনসালট্যান্ট, উনার কাছে আমার মা কে নিয়ে যাই গলায় সমস্যার চিকিৎসা করার জন্য।কক্ষে ডুকে দেখি উনি ঘুমাচ্ছেন এবং কম্পিউটারে (অনেক সাধনার পরে আমি পেলাম তোমার মন) এই গান বাজতেছে। মেডিকেলের ছাত্রছাত্রীরা নিজেরা নিজেরা গল্প গুজব আর সেল্ফি তোলায় ব্যাস্ত। অন্যদিকে ৫/৬ জন রোগি বাহিরে বসে আছেন।যারাই আসছে বলে দিচ্ছে বাহিরে বসেন।রোগীরা সকলে বলছে উনি ঘুমাচ্ছেন, আমাদের কখন দেখবে? আমরাতো খেটে খাওয়া মানুষ, কতক্ষণ বসে থাকবো?ছাত্ররা উওর দিচ্ছেন…অপেক্ষা করেন উনি রেষ্ট নিচ্ছেন! আমি উনাকে যখন বললাম, আপনি ঘুমাচ্ছেন কেন? এখনতো ডিউটি করার সময়।অনেক গুলো রোগী বাহিরে বসে থেকে বিরক্ত হচ্ছে। তখন তিনি আমাকে বললেন আমি রেষ্ট না নিয়ে রোগি দেখতে পারবনা(ঘুমানোর পরে)। তারপর অনেক তর্ক….এর পর তিনি একজন লোক কে ডাকলেন(দালাল হবে হয়তো), তিনি এসে তর্ক করার চেষ্টা করলেন কিন্তু তেমন জমিয়ে তোলতে পারেনি, আমার মনে হয়েছে তিনি আমাকে চেনেন।এই তর্ক দেখে আরেকজন রোগী এসে আমাকে বলতেছে ভাই, আমি চর্ম রোগের ডাক্তার দেখাতে এসেছি।কিন্তু ডাক্তার নেই,বললাম ডাক্তার কবে আসবে, তিনি বললেন ডাক্তার এক মাস যাবত ছুটিতে আছেন,ঠিক নেই কবে আসবে। কিন্তু তার অবর্তমানে এই বিভাগটা দেখারো কেউ নেই!দেশরত্ন শেখ হাসিনা যে চেলেঞ্জ নিয়ে এই দেশের হাল ধরেছেন।সাধারণ কৃষক, শ্রমিক, মজুরের টাকা দিয়ে বেতন নিয়ে যদি।তাদেরকে এইভাবে অবজ্ঞা করা হয় তাহলে এই দেশ কিভাবে এগোবে। কিভাবে এই দেশের ডাক্তারদের প্রতি মানুষের আস্থা জন্মাবে? এই জন্যেই কি মানুষ সরকারি চাকুরী খুজে? এই দূর্নীতির শেষ কোথায়? এই যাবত কোন প্রাইভেট হাসপাতালে কি দেখেছেন ১৫ জন রোগী দেখার পরে ৩০/৩৫ মিনিট ঘুমাতে। সেখানে ঘুম আসেনা….কারন, সেখানে টাকার গন্ধ?সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১:৩০ পর্যন্ত যদি ডিউটি করতে না পারেন? তাহলে বুঝেন আপনার বেতন যারা দিচ্ছে তারা সকাল সন্ধ্যা কিভাবে কায়িক পরিশ্রম করে।এদেশের প্রধানমন্ত্রীও দিনে ৩/৪ ঘন্টার বেশি ঘুমানোর সুযোগ পায় না। আর তিনি সামান্য ডাক্তার হয়েই এই অবস্থা!! শত ধিক্কার, আর কিছু বলার ভাষা নেই আমার। এই অবস্থা দেশের শত শত হাস্পাতালে।সেয়ার করে এই সকল অথর্বদের সজাগ করার অনুরোধ করছি…তাহলে দেশ ও জাতি উপকৃত হবে।এইগুলোই ভাইরাল হওয়া প্রয়োজন।
Leave a Reply