অনলাইন ডেস্ক:
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশের একটি গ্রাম পরিহলপা’ড়া। এই গ্রামের ৯ম শ্রেনী পড়ুয়া কিশোরী শবনম ১৪ (ছ’দ্মনাম)। পাশাপাশী ওই গ্রামেরই এক স্কুল ছাত্র রবিন ১৬ (ছ’দ্মনাম) ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে তোলে স্কুল ছাত্রীর সাথে।
গত ১৬ নভেম্বর শুক্রবার রাত আনুমানিক সোয়া ১২ টায় প্রেমিকের মোবাইল ফোন পেয়ে তার বাড়িতে যায় প্রেমিক। বাড়ির সামনে দু’জনে কথা বলার সময় সেখানে হাজির হয় প্রতিবেশী চাচা আলমগীর ও জেঠা গফুর।
এসময় প্রেমিককে চ’ড়-থা’প্পর মেরে তা’ড়িয়ে দিয়ে ভ’য়ভী’তি দেখিয়ে ধ’র্ষন করে চাচা ও জেঠা। ঘটনা কারো কাছে না বলার হু’মকী দিয়ে চলে যায় ।
এদিকে পরদিন প্রেমিকা প্রেমিককে মোবাইল ফোনে ধ’র্ষনের ঘটনা জানিয়ে আ’ত্মহ’ত্যার হু’মকী দেওয়ায় একটি চক্র ধ’র্ষকদের পক্ষ হয়ে গো’পনে সম’ঝোতার চা’প দেওয়ায় বর্তমানে নি’রাপত্তাহী’নতায় ধ’র্ষিতার পরিবার।
ধ’র্ষিতার পরিবার ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, জেলার বুড়িচং উপজেলার মোকাম ইউনিয়নের অ’খ্যাত পল্লী পরিহলপা’ড়া। ১৬ নভেম্বর কর্মসুত্রে পিতা জাকির হোসেন ও নানী অ’সুস্থতার কারণে মা আয়সা বেগম বাড়িতে ছিলেন না।
রাত আনুমানিক সোয়া ১২ টায় প্রেমিক প্রেমিকার সাথে দেখা করতে আসলে বিষয়টি টের পেয়ে প্রতিবেশী চাচা সম্পর্কীয় একই গ্রামের শাহজাহানের ছেলে আলমগীর (৪৩) ও জেঠা সম্পর্কীয় মজিদের ছেলে গফুর দু’জনকে প্রেমিক-প্রেমিকাকে আটক করে।
এসময় প্রেমিককে চ’ড়-থা’প্পরসহ মা’রধো’র করতে থাকলে একপর্যায়ে দৌড়ে সে পা’লিয়ে যায়। এ সুযোগে চাচা ও জেঠা মিলে স্কুল ছাত্রীকে ধ’র্ষন করে এবং ঘটনার ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার ভ’য়ভী’তিসহ কাউকে না বলার হু’মকী দিয়ে চলে যায়।এদিকে প্রেমিকার মোবাইল ব’ন্ধ দেখে দু’শ্চিন্তায় পড়ে যায় প্রেমিক। পরদিন সকালে প্রেমিকা মোবাইল ফোনের ইমোতে প্রেমিককে জানায় তার ধ’র্ষনের ঘটনা এবং সে আ’ত্মহ’ত্যারও হু’মকী দেয়।পরে প্রেমিক তার ৩/৪ জন সহযোগী নিয়ে পরিহলপা’ড়া গ্রামের একটি দোকানের সামনে পেয়ে শনিবার দুপুরে ধ’র্ষক গফুরকে মা’রধোর করার সময় সে দৌড়ে পা’লিয়ে যায়। এদিকে একইদিন দুপুরে মা আয়সা বেগম মেয়ের ধ’র্ষনের খবর পেয়ে ছুটে আসে বাড়িতে।
আয়সা বেগম সাংবাদিকদের জানান, বাড়িতে আসার পর আমার স্বামীর ভাই হাবিবের স্ত্রী’র কাছে (শবনম ) ধ’র্ষনের কথা বলেছে শুনি। পরে বিষয়টি নিয়ে বা’ড়াবাড়ি না করার জন্য ধ’র্ষকদের পরিবারের কাছ থেকে চা’প প্র’য়োগের কারণে তারা ভ’য়ে চুপ হয়ে যায়।এদিকে ধ’র্ষনের পর মেয়েটি খাওয়া-দাওয়া ব’ন্ধ করে দেওয়ার পর নি’রাপত্তার জন্য বর্তমানে তার এক নিকটাআ’ত্মীয়ের বাড়িতে নিয়ে রাখা হয়েছে। মা আয়সা বেগম আরো জানান, আমরা নি’রিহ মানুষ। আমরা ধ’র্ষকদের বি’চার চাই।
বিষয়টি জানতে চাইলে বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ’কুল চ’ন্দ্র বিশ্বাস সাংবাদিকদের বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। কেউ আমার কাছে কোন অ’ভিযোগ নিয়ে আসেনি।
Leave a Reply