অনলাইন ডেস্ক:
কুমিল্লা মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানে জেলা পুলিশের স্থাপন করা ৬৯টি সিসি ক্যামেরার মাঝে মাত্র ৮টি সচল রয়েছে। তবে উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলছেন, শিগগরিই সব ক্যামেরা চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
সূত্র মতে, কুমিল্লায় ২০১৩-১৪ সালে জেলা শহরের বিভিন্নস্থানে ‘রাষ্ট্রবিরো ধীরা’ যখন চোরাগুপ্তা হা মলা ধ্বং সাত্বক কর্মকাণ্ড শুরু করে তখন সাধারন মানুষের জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে ও অপরাধী সনাক্তকরণের লক্ষ্যে জেলা পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থা তাদের অফিসসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আইপিসিসি ক্যামেরা স্থাপন করে। যে সমস্ত স্থানে আইপিসিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে সবগুলো মনিটরিং ও নিয়ন্ত্রণ করা হয় জেলা পুলিশ অফিসের কন্ট্রোল রুম থেকে। সেসময় নগরীতে যে সমস্ত স্থানে অপরাধ সংগঠিত হতো অল্পসময়ের মধ্যে সনাক্ত করা যেত। পুলিশও অপরাধীদেও খুব সহজে সনাক্ত করতে সক্ষম হতো। আইন-শৃঙ্খলা অনেকাংশে ভালো ছিল। ওই সময় স্থাপন করা ক্যামেরাগুলো মনিটরিং না করার কারণে সবগুলো অকেজো হয়ে গেছে। ক্যামেরা ঝুলে আছে কিন্তু কাজ করছেনা। কুমিল্লা মহনগরীর ৮টি পয়েন্টে ১৮ টি, জেলখানা মোড়ে ২টি, ফৌজদারী মোড়ে ৩টি, রাজগঞ্জ ট্রাফিক মোড় ২টি, লিবার্টি মোড় ৩টি, পূবালী চত্ত্বর ২টি, চকবাজার মোড় ২টি, টমসমব্রীজ ২টি, শাসনগাছা ২টি সব কয়টি ক্যামেরায় অচল রয়েছে।
অপরদিকে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের ৮টির মধ্যে সবকটিই অচল। আইপি ক্যামেরা পুলিশ লাইন ২৩টির মধ্যে ১টি অচল, পুলিশ সুপার কার্যালয়ের ১২টির মধ্যে সবকটি অচল। কোর্ট ও প্রিজন ভ্যান ৮টির মধ্যে ১টি অচল।
কুমিল্লার সচেতন নাগরীকরা মনে করেন, ক্যামেরাগুলো চালু থাকলে নগরীতে চুরি-ছিনতাইসহ অপরাধমুলক কর্মকাণ্ড অনেকাংশে কমে যেত। গোয়েন্দা চোঁখ ফাঁকি দিয়ে পালাতে পারতোনা অপরাধীরা। চোরাইগাড়ি মোটর সাইকেল উদ্ধার ও নগরীর ট্রাফিক নিয়ন্ত্রনেও গুরুত্বপুর্ন ভূমিকা রাখতো এই ক্যামেরা। ক্যামেরার ফিচারের মাধ্যমে পুলিশের তালিকাভূক্ত যে কোনো অপরাধীর গতিবিধি সনাক্ত করা সম্ভব হতো।
এ বিষয়ে কুমিল্লা জেলা পুলিশের মুখপাত্র পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, অচিরেই সবকটি ক্যামেরা চালু করা হবে। সূত্র: সময়ের আলো
Leave a Reply