( জাগো কুমিল্লা.কম)
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চূড়ান্ত কুমিল্লা ১১ আসনে ( চৌদ্দগ্রামে) চুড়ান্ত মনোনয়ন পেলেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা সাধারণ সম্পাদক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক মুজিব ।
আজ রবিবার (২৫ নভেম্বর) সকাল ১০টা থেকে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে তাকে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার স্বাক্ষরযুক্ত চিঠি তুলে দেয়া হয়। বিষযটি নিশ্চিত করেছেন রেলমন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা এস এন ইউসুফ।
উল্লেখ্য, এ আসনে তিনিই বর্তমান এমপি । তবে বেলজিয়াম আ.লীগের সভাপতি বজলুর রশীদ বুলু সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে নাম শোনা গেলেও তাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়।ি
এদিকে বিএনপি’র প্রার্থীতা পেতে ইতিমধ্যেই মাঠে নেমেছেন জেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি কাজী নাছিমুল হক, চৌদ্দগ্রাম উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক কামরুল হুদা, উপজেলা বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক সাজেদুর রহমান মোল্লা হিরণ, চৌদ্দগ্রাম পৌরসভা বিএনপি’র আহবায়ক জিএম তাহের পলাশী। এছাড়া এ আসনে বিএনপি’র প্রার্থীতা চাচ্ছেন ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি নিয়াজ মাখদুম মাছুম বিল্লাহ।
এ আসনে ২০ দলের শরীক জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, জাতীয় পার্টি (জাফর) থেকে দলের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী কাজী জাফর আহমেদের মেয়ে কাজী জয়া আহমেদ, জাপা (জাফর)। জাপা (এরশাদ) কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান এইচ.এন.এম শফিকুর রহমান সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে এলাকায় আলোচনা রয়েছে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চুড়ান্ত প্রার্থী মাওলানা কামাল উদ্দিন ভূইয়া।
প্রায় ৬ লাখ জনসংখ্যা অধ্যুষিত এ আসনটি জেলার রাজনীতিতে বেশ গুরুত্ব বহন করে। ফলে একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিভিন্ন দলের প্রার্থী নিয়ে এলাকায় আলোচনাও বেশ জমজমাট। চলছে ভোটেরও নানা হিসাব-নিকাশ।
বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত কাজী জাফর আহমেদ এ এলাকার এমপি ছিলেন। এই সরকারের রেলপথমন্ত্রী ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কুমিল্লার রাজনীতির জনপ্রিয় মুখ মো. মুজিবুল হক বর্তমান এমপি।
নব্বইয়ের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ১৯৯১ সালের নির্বাচনে নির্বাচিত হন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জাতীয় পার্টির প্রার্থী কাজী জাফর আহমেদ। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হন আওয়ামী লীগের মো. মুজিবুল হক। ২০০১ সালের নির্বাচনে আসনটি হাতছাড়া হয় আওয়ামী লীগের। বিজয়ী হন বিএনপি-জামায়াত জোটের প্রার্থী জামায়াত নেতা ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। তবে ২০০৮ ও ২০১৪ সালে বিপুল ভোটে এমপি হন মো. মুজিবুল হক। তার হাত ধরেই চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় শক্ত অবস্থান তৈরি করেছে আওয়ামী লীগ। অন্যদিকে বেলজিয়াম আ.লীগের সভাপতি বজলুর রশীদ বুলু শোক দিবসসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জানান দিচ্ছেন তিনি একাদশ নির্বাচনে তিনি দলীয় মনোনয়ন চাইবেন।
Leave a Reply