নিজস্ব প্রতিবেদক:
কুমিল্লা শুক্রবার নতুনকরে সিটিতে ৪১ জন সহ ৬ উপজেলায় আরও ৮৪ জন আক্রান্ত হয়েছে । চৌদ্দগ্রাম- ১৩, লাকসাম- ১১,নাঙ্গলকোট- ৯, বরুড়া- ৫
মুরাদনগর- ৪, বুড়িচং- ১আক্রান্ত সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১ হাজার৭শ ১৪ জনে । গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়েছে নাঙ্গলকোটের ২৩ জন। মোট সুস্থ হয়েছে ২ শ ৯৮জন । গত ২৪ ঘন্টায় নতুন কোন মৃ’ত্যুর রিপোর্ট আসেনি । মোট মৃ’ত্যু হয়েছে ৪৮ জনের ।
সর্বমোট নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৩ হাজার ৪শ ৯৩ জন, ফলাফল এসেছে ১১ হাজার ৫শ ৮৮ জনের। শুক্রবার (১২ জুন ) সিভিল সার্জন কার্যালয় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
কুমিল্লা সিটি:
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের কাঁসারিপট্টির তিন জন, ভাটপাড়ার ৪ জন, পুলিশ হাসপাতালের ৯জন, রাণীর বাজারের ১ জন, নতুন চৌধুরীপাড়ার ১ জন, খ্রীষ্টানপাড়ার ১ জন, বলারামপুরের ১ জন, চৌয়ারার ১ জন, বাদুড়তলার পূর্বের ১ জন, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের একজন, মহাসড়ক পুলিশের ১ জন, মোগলটুলি থানাপুকুর পাড়ের ১ জন রয়েছেন।এ ছাড়া কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পরীক্ষা করা কারো কারো বাড়ি কুমিল্লা শহরে রয়েছে।
নাঙ্গলকোট:
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে সাবেক পৌর কাউন্সিলরসহ গত ২৪ ঘন্টায় ১০ জন প্রাণঘা’তি করো’না ভাইরাস সংক্রমণে আক্রান্ত হয়েছে। অপরদিকে সুস্থ হয়েছে ২৩ জন। এনিয়ে পুরো উপজেলায় ৭৫ জন করো’নায় আক্রান্ত হয়। মৃ’ত্যু বরন করেন দু’জন। সুস্থ হয়েছে মোট ৩৭ জন।
শুক্রবার (১২-জুন) বিকেলে করো’না আক্রান্তদের বাড়ি লক ডাউন করেছে উপজেলা প্রশাসন।
আক্রান্তরা হলেন, পৌর সদরের হরিপুর গ্রামের ৩ জন, নাগোদা গ্রামে সাবেক পৌর কাউন্সিলর, ঢালুয়া ইউপির চৌকুড়ি গ্রামের ৪ জন ও হেসাখাল ইউপির হেসাখাল গ্রামের এক জন।
শুক্রবার (১২-জুন) বিকেলে উপজেলা স্বাস্থ্য বিষয় কর্মকর্তা ডাক্তার দেব দাস দেব এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি আরো জানান, গত মঙ্গলবার (০৯-জুন) স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পেরে উপজেলা র্যাপিড রেসপন্স টিম তার নমুনা সংগ্রহ করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে প্রেরণ করে। শুক্রবারে তারদের রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
এ পর্যন্ত ৭ শত ৫০ জনের নমুনা সংগ্রহ করেছন উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। এখনো পর্যন্ত ৬ শত ৮০ জনের করো’না রিপোর্ট আসে । যার মধ্যে ৭০ জনের রিপোর্ট বাঁকি রয়েছে। এনিয়ে পুরো উপজেলায়৭৫ জনের করো’না সনাক্ত হয়।
এ বিষয়ে নাঙ্গলকোট থানার অফিসার ইনচার্জ বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যে ওই এলাকার ক’রোনা আক্রান্তদের বাড়িগুলো লকডাউন করা হবে। পাশাপাশি তাৎক্ষণিক পুলিশ পাঠিয়ে তাদেরকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে।
Leave a Reply