অনলাইন ডেস্ক:
কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন আগামী ৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। এতে যোগ্য নেতৃত্ব বেছে নিতে প্রচারণায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। চায়ের দোকান থেকে শুরু করে খেলার মাঠ; কিংবা স্কুল-কলেজ প্রাঙ্গণ- সব জায়গাতেই পছন্দের নেতাদের নিয়ে আলোচনায় ব্যস্ত তারা।
কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে সবার মুখেই বর্তমান সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সরকারের নাম। তৃণমূল কর্মীরা জানান, দলের দুর্দিনের কাণ্ডারি ও কুমিল্লাবাসীর অভিভাবক জাহাঙ্গীর আলম সরকার। তার নেতৃত্ব তৃণমূলের শিকড় পর্যন্ত বিস্তৃত।
এছাড়া কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও আসন্ন সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক মো. রুহুল আমিনও রয়েছেন সভাপতি প্রার্থীর তালিকায়।
সাধারণ সম্পাদক পদের তালিকায় রয়েছে একাধিক নেতার নাম। ইতোমধ্যে প্রার্থী হতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব অধ্যক্ষ এম. হুমায়ুন মাহমুদ; সংসদ সদস্য রাজী ফকরুল; সংসদ সদস্য সেলিমা আহমদ মেরি; সংসদ সদস্য সেলিমা ইসলাম; দাউদকান্দি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মেজর (অব.) মোহাম্মদ আলী সুমন; হোমনা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ. কে. এম. সিদ্দিকুর রহমান আবুল ও জেলা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রোশন আলী মাস্টারের নাম। তৃণমূলের দাবি, এরা সবাই জনসম্পৃক্ত।
এদের মধ্যে বেশ আলোচিত হচ্ছে, কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এ. কে. এম. সিদ্দিকুর রহমান আবুলের নাম। দীর্ঘ সময়ের রাজনৈতিক জীবনে দলের সঙ্কটময় মুহূর্তে তৃণমূলের হাল ধরেন তিনি।
ছাত্র জীবনে আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠনের ছাত্রলীগের সাথে সরাসরি জড়িত ছিলেন এ নেতা। ১৯৯১ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত বিএনপি জামায়াত জোট সরকারের নানা অনিয়মের প্রতিবাদ করতে গিয়ে প্রায় এক ডজন মামলা হয় তার বিরুদ্ধে।
১৯৯৫ সালে বিএনপি জামায়াত জোট সরকারের মন্ত্রী এম. কে. আনোয়ারের নির্দেশে গুলি করা হয় এ. কে. এম সিদ্দিকুর রহমান আবুলের ওপর। এ আক্রমণের পর ৬ মাস পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। তার চিকিৎসার খোঁজ নিয়ে সে সময়ে হাসপাতালে ছুটে যান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা।
এরপর ২০০১ সালে থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি জামায়াত জোট সরকারের তার বিরুদ্ধে আরো ১৬টির বেশি মামলা করেন তৎকালীন মন্ত্রী এম. কে. আনোয়ারের অনুসারীরা।
দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে কুমিল্লা উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, হোমনা সরকারী ডিগ্রি কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি; হোমনা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও হোমনা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
সম্প্রতি দলের নেতৃত্ব থেকে অনুপ্রবেশকারী, দুর্নীতিবাজ ও বিতর্কিতদের বাদ দিয়ে দক্ষ, ত্যাগী, তৃণমূলের সাথে সম্পৃক্ত স্বচ্ছ ভাবমূর্তির পরিচ্ছন্ন নেতাদের বাছাইয়ের ঘোষণা দেন সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার এ ঘোষণায় সম্মেলনকে ঘিরে দেশের অন্যান্য জেলার মতো উচ্ছ্বাস-উদ্দীপনা বইছে কুমিল্লা উত্তরের সাতটি উপজেলায় তৃণমূল নেতাকর্মীদের মাঝে।
Leave a Reply