অনলাইন ডেস্ক:
কুমিল্লার পৃথক তিনটি সড়ক দুর্ঘটনায় ৮ জন নিহত হয়েছে। দাউদকান্দি উপজেলায় যাত্রীবাহী একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে তিনজন নিহত হয়েছেন।এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১২ জন। শনিবার (১৯ জানুয়ারি) বিকেল পৌনে ৩টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গৌরিপুর বাসস্ট্যান্ডের পশ্চিম পাশে এ দুঘর্টনা ঘটে।
নিহতদের মধ্যে দু’জন পুরুষ ও একজন নারী পথচারী রয়েছেন। বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি।
দাউদকান্দি হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ জানান, বিকেলে ঢাকা থেকে মায়ের দোয়া পরিবহন নামে বাসটি চট্টগ্রাম যাচ্ছিল।
গৌরিপুর বাসস্ট্যান্ডের পশ্চিম পাশে এলে এক নারী পথচারীকে চাপা দিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের খাদে পড়ে যায় বাসটি। এতে ঘটনাস্থলেই পথচারীসহ বাসের দুই যাত্রী নিহত হন। এ সময় আহত হন আরও অন্তত ১২ জন যাত্রী।
দুপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা জেলার বুড়িচং উপজেলার কোরপাই এলাকায় আরেকটি দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ২ জন নিহত হয়।
ময়নামতি হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক এখলাসুর রহমান জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা একটি প্রাইভেট কারের সামনের চাকা ফেটে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে খাদে পড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।এদিকে শনিবার দুপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা ক্যান্টমেন্ট এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় ১ জন নিহত হয়ছে।
এছাড়া শনিবার ভোরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের জেলার দাউদকান্দি উপজেলার ইলিয়টগঞ্জ সংলগ্ন মোবারকপুর এলাকায় আরও একটি দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ২জন নিহত হন। দুপুরে নিহতদের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ।ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম জানান, কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী গ্রীন লাইন পরিবহনের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে শনিবার ভোর ৬টার দিকে মোবারকপুর নামক এলাকায় একটি ক্যাভার্ডভ্যানকে পিছন থেকে ধাক্কা দেয়।
এসময় পিছন থেকে অপর একটি ট্রাক ধাক্কা দেয় গ্রীন লাইন বাসটিকে। এতে ঘটনাস্থলে বাসের সুপার ভাইজার ফয়সাল এবং হেলপার মানোয়ার গুরুতর আহত হয়। পরে আশংকাজনক অবস্থায় ঢাকায় নেয়ার পথে তারা মারা যায়।নিহত ফাহাদ আল রাজী ফয়সাল কুমিল্লার সদর দক্ষিন উপজেলার লালবাগ এলাকার কায়কোবাদ মজুমদারের ছেলে এবং নিহত হেলপার মানোয়ার হোসেন মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার কাজীকান্দা গ্রামের ইদ্রিস মিয়ার ছেলে। লাকসামের কৃষ্ণপুরে উপকূল বাসা খাদে পড়ে ৩০ জন আহত হয়েছে।
Leave a Reply