( জাগো কুমিল্লা.কম)
কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নোমান নামে পাঁচ বছর বয়সী এক শিশুকে নির্মমভাবে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার বিপুলাসার নূরানী হাফেজিয়া ইসলামি একাডেমির প্রথম জমাতের ওই শিশুকে নির্যাতনে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক এমদাদ হোসেন। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে তা আলোচনার ঝড় তোলে কুমিল্লাজুড়ে।
শিশু নোমান উপজেলার বিপুলাসার ইউনিয়নের কাঁচি গ্রামের খোরশেদ আলমের ছেলে। স্থানীয়রা জানান, বেশ কিছুদিন ধরে নোমানকে ভালভাবে পাঠ দেওয়ার নামে এমদাদ তার আবাসিক হোস্টেলে রাখছিলেন। গত কয়েকদিন ধরে নোমানের বাবা-মা তার সঙ্গে দেখা করতে গেলে এমদাদ বিভিন্ন কথা বলে তাদের ফিরিয়ে দিচ্ছিলেন।
এতে শিশুটির বাবা-মায়ের মনে সন্দেহ হলে তারা জোর করে দেখা করতে যান। তখন দেখা যায়, শিশুটির শরীরের বিভিন্ন স্থানে বেতের আঘাত। নোমানের দুই উরুতে বেতের আঘাত ও চোখ-মুখে জখমের ছাপ দেখে বাবা-মা চিৎকার শুরু করেন। নোমানের সঙ্গে কথা বললে সে জানায়, এমদাদ তার স্পর্শকাতার অঙ্গেও গরম পানি ঢেলে নির্যাতন করে।
স্থানীয়রা আরও জানান, এমদাদের বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক ছাত্রকে নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে। নোমানকে এভাবে নির্যাতনের খবরে ওই শিক্ষককে বিচারের আওতায় আনার দাবি করেছেন সচেতন মহল। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র বলছে, ২০ হাজার টাকায় শিশু নির্যাতনের বিষয়টি ‘সমঝোতার’ মাধ্যমে মীমাংসার চেষ্টা চালাচ্ছেন এমদাদের পক্ষের একটি গ্রুপ।
এ বিষয়ে মনোহরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন খান বলেন, বিষয়টি সাংবাদিকদের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। তবে কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply