(আব্দুল্লাহ আল মানছুর, কুমিল্লা)
সরকারি বা বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষে কোন প্রকার দোকান স্থাপনা বা দোকানপাট বসানোর জন্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তেমন কোন প্রজ্ঞাপনজারি না থাকলেও অনুমোদনবিহীন কুমিল্লা জেলার বুড়িচং উপজেলার ষোলনল ইউনিয়নের গাজিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি শ্রেণীকক্ষের মাঝে মুদি দোকান বসানোর চিত্র চোখে পড়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে এলাকার লোকজন হতে জানা যায়-গত ২ বছর যাবত ধরে অত্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণী কক্ষের মত একটি কক্ষের ভিতর মুদি দোকান স্থাপনা করে বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। বিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষের ভিতর দোকান করার জন্য শিক্ষা বিভাগের কোন কর্মকর্তা অনুমোদন দিয়েছে কিনা তাহার কোন প্রকার লিখিত কাগজপত্র দেখাতে পারেননি বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নাজমা আক্তার।
বুড়িচং গাজিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণী কক্ষে দোকান স্থাপনা করার বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেনে এর সাথে কথা বললে তিনি জানান- সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রুমের ভিতরে বা মাঠে দোকান স্থাপনা’র বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তেমন কোন প্রজ্ঞাপনজারি করেননি, এর বিপরীতে কেউ দোকান বসানো বা স্থাপনা করে থাকলে তাহার বিরুদ্ধে আইনানুগ শাস্তি’র ব্যবস্থা করা হইবে।
এদিকে বিদ্যালয়টি যেন শিক্ষার্থীর অভাবে ঝড়ে পরছে। শ্রেণী কক্ষে দোকান এর চিত্র দেখা গেলেও চোখে পরেনি তেমন কোন ছাত্র-ছাত্রী। অথচ বছরের পর বছর অত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা শির্ক্ষীদের নামে হাজার হাজার টাকা উপবৃত্তির অনুদান অনুমোদন করেন।
গাজিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণী কক্ষে দোকান করার বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রৌশন আরার সাথে কথা বললে তিনি জানান-প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সততা ষ্টোর নামক দোকান করার জন্য শিক্ষা কর্মকর্তারা আমাদের নির্দেশনা দিয়েছে, তবে এ দোকান স্থাপনা কোন ক্রমেই শ্রেণী কক্ষের ভিতরে নয়, শিক্ষকদের রুমের এক পাশে দোকান স্থাপনা করতে হবে। শিক্ষার্থীদের সুবিধার জন্যই এ ধরনের আইন চালু করন করা হয়েছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
Leave a Reply