( জাগো কুমিল্লা.কম)
ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সরকার তরুণদের জন্য কোটি কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। গুরুত্বপূর্ণ জেলা হিসাবে কুমিল্লায় প্রতিষ্ঠা করা হবে হাই-টেক পার্ক। দক্ষ জনশক্তি তৈরির জন্য সরকার ইতোমধ্যে কুমিল্লায় শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন প্রকল্প চালু করেছে।
তবে শুরুতেই এ প্রতিষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট ও প্রকল্প বাস্তবায়নকারীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি নানা অনিয়মের অভিযোগ করছে ছাত্র-ছাত্রীরা। অনিয়ম নিয়ে সোমবার জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ প্রদান করেছে শিক্ষার্থীরা। টেকনো সার্ভিস এন্ড সলিশন লিমিটেড (টিএসএসএল) এর সার্চ ইঞ্জিন অফটিমাইজেশন (এসইও) ব্যাচের প্রশিক্ষনার্থীদের পক্ষ থেকে এ অভিযোগ করা হয়।লিখিত অভিযোগপত্রে প্রশিক্ষানার্থীরা উল্ল্যেখ করেন, কর্তৃপক্ষে প্রতিশ্রুতি মতে ক্লাস রুম ছোট, প্রজেক্টর সমস্যা, এসি নেই, ফিঙ্গারিং হাজিরা নেই দীর্ঘ দিন, সিসি ক্যামেরা বন্ধসহ নানা অভিযোগ করলেও টিএসএসএল কোন বিষয়ে সমাধন করেনি।
উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর পর শিক্ষর্থীদের ক্লাস থেকে বের করে দেওয়াসহ নানা ভাবে হয়রানি ও হুমকি দেওয়া হয়েছে।অভিযোগে আরো বলা হয়, কর্তৃপক্ষ থেকে নির্ধারিত নাস্তার বাজেট ২৫ টাকা থাকলেও শুরুতে ৫ টাকা, সর্বশেষ ১৫ টাকা মূল্যের নিম্ন মানের নাস্তা সরবরাহ করা হয়েছে। কোন কোন ক্লাসে নাস্তা না নিয়ে স্বাক্ষর গ্রহণ করা হয়েছে। ৩ ঘন্টা ক্লাস ২০-২২ মিনিটেই করানো হয়। ফলে সিলেবাসের অগ্রগতি নেই।৩৬টি ক্লাসে কোর্স পাঠ্যক্রমে এর ৪০ পৃষ্টার মধ্যে মাত্র ৫ মাত্র পৃষ্টা শেষ হয়েছে, ক্লাস বাকি আর ৪টি। আর অভিযোগের সংযুক্তিতে শিক্ষার্থীদের স্বাক্ষর, আইডি নম্বর ও মোবাইল নম্বর, চলমান সমস্যা সমূহ, কোর্স সিলেবাসের ফটোকপি ও বর্তমান ট্রেইনারের অনলাইন মার্কেট প্লেস প্রোপাইল প্রিন্ট কপি জমাদেয় শিক্ষার্থীরা।
রাহাতুল আলম নামে একজন ছাত্র জানান, সমস্যার কথা জানানোর ফলে সীমা ম্যাম আমাকে বলছে ক্লাস থেকে বের করে দিবে। আমরা যদি না ক্লাস করি এ প্রজেক্ট বন্ধ হয়ে যাবে না। তিনি প্রায় ক্লাসে রাগারাগি করতেন । ছয় মাস শেষ এখনো ৯০% সিলেবাস পড়ানোর বাকী।
মাহমুদা খানম নামের এক প্রশিক্ষনার্থী জানান, এ ধরণের প্রতিষ্ঠানের কারণে সরকারি প্রজেক্টের প্রতি শিক্ষার্থীদের আস্থা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আমরা অনেক বড় স্বপ্ন নিয়ে কোর্সে লিখিত ও ভাইবা পরিক্ষা দিয়ে ভর্তি হয়েছি। ছয় মাসে ফল শূণ্য। আমরা চাই পরের কোর্সে অন্য কোন প্রতিষ্ঠানের অধিনে আমরা কোর্সটি ভালো শেষ করতে।
এসব অভিযোগ নিয়ে ভূইয়া কম্পিউটার পরিচালক ও টিএসএসএল প্রধান রাজিয়া সুলতানা সীমার নিকট প্রশ্ন করলে তিনি বলেন আপনি সাংবাদিক হয়েছেন কী হয়েছে? আমি এটার অনচার দিতে বাধ্য নই। আমাদের হেড অফিস আছে, আপনি নম্বর সংগ্রহ করে তাদের সাথে কথা বলেন। (অডিও থেকে নেওয়া)।
এ অঞ্চলের প্রজেক্টর এসিস্টেন প্রোগ্রামার মনজুরুল আলম জানান, সমস্যাগুলো বহুদিনের আমি প্রশিক্ষনার্থীদের কথা শুনেছি। টিএসএসএলকে সমাধানের জন্য বলেছি, তারা সামধান করেনি। আর তারা (প্রশিক্ষনার্থীরা) উপরের লোকদের ইমেইলে অভিযোগ জানিয়েছে, সেটা আমারও সমস্যা, তাদেরও সমস্যা। সমাধান হবে কী না আমি জানি না।
Leave a Reply