কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার গল্লাই ইউনিয়নের গল্লাই গ্রামে তিন সন্তানের জননীকে পিটিয়ে হত্যা করে বাড়িতে লাশ রেখে পালিয়ে যায় মাদকাসক্ত স্বামী। ৩০ নভেম্বর ৩০ নভেম্বর (শুক্রবার) রাতে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে চান্দিনা থানা পুলিশ। নিহত ঝর্ণা বেগম (৩৫) একই গ্রামের হাজী আব্দুর রাজ্জাক এর মেয়ে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই আব্দুর রহমান বাদী হয়ে থানা মামলা দায়ের করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গল্লাই গ্রামের হাজী আব্দুর রাজ্জাক এর মেয়ের সাথে একই গ্রামের নসিমন চালক মনির হোসেনর বিয়ে হয় ১৫ বছর পূর্বে। মনির হোসেন একজন মাদকাসক্ত। প্রায়ই স্ত্রীর উপর শারীরিক নির্যাতন করতো। গত বৃহস্পতিবার রাতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্ত্রী ঝর্ণা বেগমকে মারধর শুরু করে। প্রতিবেশিরা এসে প্রাথমিক ভাবে সামাল দিলেও পরদিন শুক্রবার সকালে আবারও মারধর করে। লোহার রড দিয়ে এলোপাথারী মারধর করার এক পর্যায়ে অচেতন হয়ে পড়ে ঝর্ণা বেগম। পরে তাকে পাশ্ববর্তী চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলাধীন এক পল্লী চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যায়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি ঘটলে বিকেলে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করে।
চান্দিনা থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবুল ফয়সল জানান, কচুয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে নিহতের মরদেহ গল্লাই বাড়ির সামনে ফেলে পালিয়ে যায় স্বামী মনির। শুক্রবার সন্ধ্যায় আমরা খরব পেয়ে রাত ১২টার দিকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করি। শনিবার নিহতের ভাই আব্দুর রহমান বাদী হয়ে চান্দিনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
Leave a Reply