(আক্কাস আল মাহমুদ হৃদয়, বুড়িচং)
কুমিল্লা জেলার বুড়িচং উপজেলার কালিকাপুর-বুড়িচং-থানা রোডে প্রেমিকার ভাইয়ের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী কর্র্তৃক প্রেমিককে কালো হাই-এক্স গাড়ি দ্বারা তুলে নেওয়ার সময় জনতার হাতে আটক হয় গাড়ি এবং চালক। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, প্রেমিক সুমন মিষ্টি নিয়ে সিএনজি যোগে জেলার বুড়িচং উপজেলার হরিপুর গ্রামে প্রেমিকার আত্মীয় এর বাড়িতে দাওয়াতে যাওয়ার পথে কালিকাপুর-বুড়িচং থানা রোডে রেলসড়কে পৌছলে কালো একটি হাই-এক্স গাড়ির ( ঢাকা মেট্রো-চ ১৯-২০৪১)এর ৭-৮জন ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা সিএনজি থেকে নামিয়ে মুখোশ বেধেঁ তুলে নেওয়ার পথে কালিকাপুর বাজারে পৌছালে উক্ত গাড়িটিকে স্থানীয়রা চালকসহ আটক করে ফেলে এসময় ওই সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
পরে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে বুড়িচং থানার এস ্আই কামাল হোসেন চালকসহ গাড়িটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। আটককৃত চালক মো: আবুল কালাম (২৪) রাজাপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ গ্রামের ইদ্রিস মিয়ার ছেলে ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জেলার বুড়িচং উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের ঘিলাতলা গ্রামের প্রবাসী বাচ্চু মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া (২৫) একই ইউনিয়নের দক্ষিণ গ্রামের মোস্তফার মেয়ে লিমা আক্তার (১৫) (ছদ্ম নাম) এর সাথে দীর্ঘদিন ধরে প্রেম করে আসছে। প্রেমিক প্রেমিকার উভয় পরিবার তাদের বিষয়টি জানতো এবং একে অপরের বাড়িতে আসা-যাওয়াসহ হয়েছে।
এই সুবাধে ২৪ জুন রবিবার প্রেমিকার নিমন্ত্রনে আত্মীয় এর বাড়িতে প্রেমিক সুমন আসার পথে এ ঘটনাটি ঘটে। কারণ একটাই প্রেমিকার ভাই রবিউল এই প্রেমের বিষয়টি মানতে রাজি নন তাই প্রেমিক সুমনকে উপযুক্ত শিক্ষা দেওয়ার জন্য সন্ত্রাসী দ্বারা অপহরনের চেষ্টা চালায়। তবে অপহরনকারীরা ব্যর্থ হয়ে যায় জনতার হাতে আটক হওয়ার কারণে।
পরে প্রেমিক-প্রেমিকাসহ উভয়পক্ষ এবং চেয়ারম্যান মেম্বারকে থানায় ডাকালে প্রেমিকা-প্রেমিকা দু জন একে অপরকে ছেড়ে থাকতে পারবে না বলে স্বীকারোক্তি করে। তবুও প্রেমিকার ভাই রবিউল মানছেনা না।
এ বিষয়ে প্রেমিক সুমনের মা বলেন, প্রায়ই সময় মোবাইলে কল দিয়ে আমার সাথে মেয়ে ও মেয়ের মা কথা বলতেন এবং দু পক্ষের মধ্যে ঈদের পরে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে এমনই কথা হয়েছিল। তবে কেন আমার ছেলেকে অপহরন করবে? আমি এর সঠিক বিচার চাই। এ বিষয়ে প্রেমিক সুমন মিয়া বলেন, সন্ত্রাসীরা সিএনজি থেকে জোর করে কালো হাই-এক্স গাড়িতে তুলে মুখোশ পরিয়ে মারধর করে। এতে আমি চোখে ও শরীরে আঘাত পাই। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বুড়িচং থানার ওসি মনোজ কুমার দে বলেন, আমরা উভয় পক্ষকে ডাকিয়েছি এবং আইনানুগ প্রক্রিয়াধীন অব্যহত রয়েছে।
Leave a Reply