অনলাইন ডেস্ক:
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, কুমিল্লা জেলা কার্যালয়ে দায়েরকৃত দুটি অভিযোগ নিষ্পত্তি করা হয়েছে। প্রমাণিত না হওয়ায় আরও তিনটি অভিযোগ খারিজ করা হয়।
গত ২৯ আগষ্ট সাইদুল ইসলাম নামের একজন ভোক্তা রানীর বাজার এলাকার ইকোনমিক ড্রাগ হাউজ থেকে একটি ইনজেকশন ক্রয় করেন। বাড়িতে ফিরে ইনজেকশন পুশ করার সময় দেখেন তার মেয়াদ অক্টোবর, ২০১৮ তে শেষ হয়েছে। ফলে তিনি গতকাল লিখিত অভিযোগ করেন এবং ভোক্তা অাইনে প্রতিকার চান।
আজ মঙ্গলবার অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো: আছাদুল ইসলামের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে এ অভিযোগের সত্যতা মিললে অধিদপ্তরের প্রশাসনিক ব্যবস্থায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের ৫১ ধারায় ৫০হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযোগকারী জনাব সাইদুল ইসলাম আইনের ৭৬(৪) ধারার বিধান বলে নগদ ১২হাজর ৫শ টাকা পান। কুমিল্লা জেলা প্রশাসক জনাব মো: আবুল ফজল মীর অভিযোগকারীর হাতে এ অর্থ তুলে দেন।
অন্যদিকে জনাব মিনহাজ উদ্দিন আহমেদ নামের একজন ভোক্তা গত মাসে এ দপ্তরে অভিযোগ করেন যে, রানীর বাজার এলাকান আরএফএল বেস্ট বাই তে ৫০ টাকার ট্যাগ লাগানো মেলামাইনের প্লেট তার কাছ থেকে রাখা হয় ৬৫ টাকা করে। আজ তদন্তে সত্যতা মিললে অভিযুক্ত শো রুম কে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের ৪০ ধারায় ১০হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযোগকারী মিনহাজ পান ২হাজার ৫শ টাকা।
এছাড়াও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার উৎপাদন ও সংরক্ষণের অভিযোগে রানীর বাজার এলাকার সাকিব হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টকে ৪৩ ধারায় ৩,০০০ টাকা জরিমানা করা হয়। সহকারী পরিচালক মো: আছাদুল ইসলামের নেতৃত্বে পরিচালিত এ অভিযানে জেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর অমলেন্দু ভাণ্ডারী, রানীর বাজার ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ ও জেলা পুলিশের একটি টিম সার্বিক সহযোগিতা করেন।
এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
Leave a Reply