অনলাইন ডেস্ক:
কুমিল্লা সদর উপজে’লা সী’মান্তের নিশ্চি’ন্তপুর ৭৮নং পিলার সংলগ্ন হানকিজলা নামক এলাকায় আনোয়ার হোসেন আনু মিয়া (৪৫) নামের এক ব্যাক্তিকে পি’টিয়ে হ’ত্যা করেছে ভারতীয় মা’দক কা’রবারি কামরুল ও ফারুক নামের ২ যুবক।
শনিবার বেলা পৌনে ২টায় ভারত সী’মান্তের ইউএনসি নগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। নি’হতের পরিবার, স্থানীয় লোকজন ও বিজিবির বরাত দিয়ে জানা যায়, হানকিরজলা এলাকার মৃ’ত ছেতু মিয়ার ছেলে নি’হত আনু মিয়া এলাকায় মুদি ও চায়ের দোকান পরিচালনা করতেন।
ভারত ও বাংলাদেশে দৈত ভাবে বসবাসকারী ভারতীয় নাগরিক ইউএনসি নগর এলাকার মৃ’তঃ হাকিম কবিরাজের ছেলে কু’খ্যাত মা’দক কারবারি কামরুলের কাছে দোকান বকেয়ার ৪৮০টাকা পাওনা ছিলো।
শনিবার দুপুরে সী’মান্তের ৭৮নং পিলারের কাছে দাড়িয়ে আনু মিয়াকে ৪টি দধির কাপ নিয়ে যেতে বলে। আনু মিয়া দধির কাপ নিয়ে গেলে কামরুল পরে টাকা দেবে বলে জানায়।
এসময় আনু মিয়া ও কামরুলের সাথে দোকান বাকীর টাকা নিয়ে বা’কবি’তন্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে কামরুল (২৮) ও একই এলাকার অহিদ মিয়ার ছেলে ভারতীয় নাগরিক ফারুক মিয়া (৩০) আনু মিয়াকে এলোপা’তাড়ি পে’টাতে থাকে।
আনু মিয়ার মাথায় সজো’রে আ’ঘাত করলে ঘটনাস্থল (ভারত সীমান্তে) তার মৃ’ত্যু হয়। ঘটনাস্থল থেকে পা’লিয়ে যায় কামরুল ও ফারুক। খবর পেয়ে বিজিবি ও বিএসএফ সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদ’র্শন করেন।
ইউএনসি নগর এলাকাটি ভারতের সোনামুড়া থা’না এলাকায় হওয়ায় সোনামুড়া থা’না পু’লিশ ঘটনাস্থলে এসে সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে নি’হতের লা’শ সোনামুড়া থা’নায় নিয়ে যায়।
ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে উপস্থিত হন পাঁচথুবী ইউপি চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন বাহালুল। তিনি বলেন, কামরুল ভারতীয় নাগরিক হলেও তার মা এবং বোন বাংলাদেশ সী’মান্তে বসবাস করে বলে শুনেছি।
হ’ত্যাকারী কামরুল এলাকায় কু’খ্যাত মা’দক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত। এর আগেও মা’দক ব্যবসার দ্ব’ন্দের জেরে স্থানীয় বাংলাদেশী এক যুবকের হাত কে’টে নিয়ে গেছে বলে জেনেছি।
সী’মান্তের ওপারের মা’দক কারবারিদের এ চক্রটি প্রায়ই এ এলাকার মানুষের ওপর নি’র্যাতন চালায় বলে স্থানীয়দের অনেকেই অ’ভিযোগ করেছে।
এসব মা’দক কারবা’রিদের সাথে ভারতীয় বিএসএফ সদস্যদের শখ্যতা ও তাদের সরাসরি ম’দদে বেপ’রোয়া হয়ে উঠেছে। ঘটনার পর থেকেই নিশ্চিন্তপুর সী’মান্ত এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে, অ’নাকাঙ্খিত পরিস্থিতিতে এড়াতে এলাকায় অ’তিরিক্ত বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
Leave a Reply