(বারী উদ্দিন আহমেদ বাবর, নাঙ্গলকোট)
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বৌভাতের পনেরদিন পর বাথরুম থেকে মমেনা আক্তার টুম্পা (২৫) নামের অন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে পরিবারের দাবী তাকে হত্যা করে বাথরুমে রেখে স্বামীসহ সবাই পালিয়ে গেছে। গতকাল শুক্রবার উপজেলার বক্সগঞ্জ ইউনিয়নের মধনপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত টুম্পা ঢালুয়া ইউনিয়নের উরকুটি গ্রামের হারুন অর রশিদের মেয়ে। ঘটনার পর থেকে টুম্পার স্বামী ও শশুর বাড়ীর পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বক্সগঞ্জ ইউনিয়নের মদনপুর গ্রামের আমিন মিয়ার ছেলে দুলাল মিয়ার সাথে প্রায় ৭ মাস পূর্বে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় আমেনা আক্তার টুম্পার। এরপর গত ৪ এপ্রিল বৌভাত অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে টুম্পাকে ঘরে তুলে নেয় স্বামী দুলাল। এরইমধ্যে ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে টুম্পা। বিয়ের পর থেকেই টুম্পাকে যৌতুকের দাবী ও নানা অযুহাতে নির্যাতন চালাতো দুলাল মিয়া। একপর্যায়ে শুক্রবার দুপুরে টুম্পাকে পিটিয়ে হত্যা করে বাথরুমের মধ্যে লাশ রেখে পালিয়ে যায় স্বামী দুলাল ও পরিবারের লোকজন।
নিহতের ভাই মো. নিজাম উদ্দিন বলেন, আমার এক ফুফুর মাধ্যমে খবর পেয়ে আমার বোনের মুঠোফোনে ফোন করলে কেউ রিসিভ করেনি। পরে আমরা দ্রুত গিয়ে দেখি বাথরুমের ভেতওে আমার বোনের মরদেহ পড়ে আছে। এরপর পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার কওে থানায় নিয়ে আসে। আমরা এ হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু বিচার চাই।
তিনি আরো বলেন, আমার বোনের স্বামী দুলাল পরকীয়া প্রেমে আসক্ত ছিল। এ নিয়ে তাদের মাঝে প্রায়ই ঝড়গা হতো। এ কারনে সে আমার বোনকে হত্যা করতে পারে বলেও দাবী করেন তিনি।
এ বিষয়ে নাঙ্গলকোট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ ফরিদ জানান, টুম্পার মরদেহ বাথরুম থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছি। নিহতের শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন নাই, তবে গলায় আচড়ের দাগ রয়েছে। প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে এটি আতœহত্যা। ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রেরণ করা হবে। প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
Leave a Reply