( জাগো কুমিল্লা.কম)
কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় বিয়ের ১৫ দিন পর বাপের বাড়ীতে নববধুর আত্মহত্যা। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার সন্ধায় উপজেলার কালাচানকান্দি গ্রামের বাহরাইন প্রবাসী রমিজ উদ্দিনের বাড়ীতে।
নববধূ খাদিজা আক্তার উর্মী(১৪) রমিজ উদ্দিনের বড় মেয়ে। পুলিশ খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কুমিল্লা মর্গে প্রেরণ করেছে।
এলাকাবসী সুত্রে জানা যায় সেপ্টেম্বর মাসের ২১ তারিখে উপজেলার বলরামপুর গ্রামের জালাল উদ্দিনের ছেলে ডুবাই ফেরত মো. ইয়াছিন(৩৫)এর সাথে বিয়ে হয়।
বিয়ের পর থেকেই উর্মী তার স্বামীর সাথে বনিবনা হচ্ছিলনা। এবং একই গ্রামের এক জৈনকের সাথে উর্মীর প্রেমের সম্পর্ক আছে বলে প্রকাশ পায়।
এ বিষয়ে উর্মীর মা ফাতেমা বেগম দাদী ছালেহা বেগম তাকে শাসন করে, স্বামীর সাথে ভাল ব্যাবহার করার জন্য। এতে সুন্দরী উর্মী ক্ষিপ্ত হয়ে কেরির বড়ি খেয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে জানা যায়।
সরেজমিনে গেলে উর্মীর মা ফাতেমা বেগম প্রথমে সাংবাদিকদের বলেন তার মেয়ের মাথায় সমস্যা ছিল,অর্থাৎ পাগল এবং তার মেয়েকে বিয়ে দেয়নি।
একপর্যায় বিয়ের কথা স্বীকার করে, ফাতেমা বেগম বলে ভাই মেয়ে ছোট তাই ভয়ে বলিনি। তবে কার সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল তা স্বীকার করেনি। দাদী ছালেহা বেগমের স্বামী শাহআলম বলেন উর্মী আমার বাতিজার ঘরের নাতনী সে পাগল ছিল এবং কেরীর বড়ি খেয়ে আত্মহত্যা করেছে।
এদিকে উর্মীর শশুর বাড়ী বলরামপুর গেলে তার শাশুরী রহিমা বেগম বলেন বিয়ের পর আমাদের বাড়ীতে মাত্র ৩ দিন ছিল। বিয়ের আগে আমরা জানতামনা মেয়ের অন্য ছেলের সাথে সম্পর্কৃ আছে। শুনেছি মেয়ের মা ও দাদী শাসন করার কারনে আত্মহত্যা করেছে।
Leave a Reply