অনলাইন ডেস্ক
কুমিল্লা থেকে অপ হরণের ৭দিন পর মো. ইয়াছিন ওরফে সোহাগ নামে এক প্রবাসীকে বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাতে ঢাকার পোস্তাগোলা থেকে উ দ্ধার করা হয়েছে। অপহ রণকারীচক্র ওই যুবককে নির্যা তনের ভিডি ও তার মায়ের মোবাইলে পাঠিয়ে ২০ লাখ টাকা মুক্তি পণ দাবি করেছিল। তবে এ ঘটনায় জড়িত কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি।
ভিক টিম সোহাগ জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার পোমকাড়া গ্রামের ছিদ্দিকুর রহমানের ছেলে। গত ১২ সেপ্টেম্বর তাকে কুমিল্লা থেকে কৌ শলে অ পহরণ করা হয়। শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় কুমিল্লা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাখাওয়াৎ হোসেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, ভিকটিম ইয়াছিন ওরফে সোহাগ (৩০) সম্প্রতি সৌদি আরব থেকে দেশে আসেন। পরে চাঁদপুর জেলা সদরের পশ্চিম হোসেনপুর গ্রামের মৃত আবিদ মাস্টারের ছেলে নজরুল ইসলাম ওরফে সুমন (৩৫) তার বন্ধু সোহাগকে ইতালিতে নিয়ে যাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে গত ১০ সেপ্টেম্বর ভিসা প্রসেসিংয়ের জন্য চট্টগ্রামে ভারতীয় ভিসা সেন্টারে সোহাগের কাগজপত্র জমা দেয়। ১২ সেপ্টেম্বর ভিসা আনার জন্য সোহাগ বাড়ি থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে বের হয়। ওইদিন বিকাল ৫টায় সোহাগ তার বন্ধু সুমনের সাথে ঢাকায় আছে বলে তার পরিবারকে মোবাইলে জানায়। এরপর থেকে সোহাগের মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। গত ১৬ সেপ্টেম্বর দুপুরে সোহাগের মোবাইল হতে কয়েকটি ছবি ও ২টি মোবাইল নম্বর তার মায়ের মোবাইলে ইমোর মাধ্যমে পাঠানো হয়। এরপর সোহাগের পরিবারের লোকজন ওই মোবাইলে কথা বলে জানতে পারে- সোহাগকে তার বন্ধু সুমন ও অ জ্ঞাতনামা ২-৩জন বন্ধুসহ তাকে আ টক করে রেখেছে।
এ ব্যাপারে সোহাগের ভাই সুজন মিয়া ওইদিন ব্রাহ্মণপাড়া থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে ১৭ সেপ্টেম্বর সুমন ও তার সঙ্গীরা অজ্ঞাত স্থানে একটি বদ্ধরুমে সোহা গকে আ টকে রেখে তার হাত ও পা বাধা অবস্থায় কয়েকটি ছবি ও নির্যা তনের ভি ডিও ই মোর মাধ্যমে তার মায়ের মোবাইলে প্রে রণ করে এবং ২০ লাখ টাকা মু ক্তিপণ দাবি করে।
পরে জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) এলআইসি টিম ও ব্রাহ্মণপাড়া থানা পুলিশের টিম সোহাগকে উ দ্ধারের জন্য অভিযানে নামে। তারা তথ্যপ্রযু ক্তি ব্যবহার করে ও বিভিন্ন সূত্র ধরে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা, সোনারগাঁও এলাকাসহ ঢাকার বিভিন্ন স্থানে অ ভিযান চালায়।
বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার শ্যামপুর থানা পুলিশের সহায়তায় পোস্তাগোলা ব্রি জের নিকট থেকে আহত অবস্থায় সোহাগকে উদ্ধা র করে কুমিল্লা নিয়ে আসা হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাখাওয়াৎ হোসেন জানান, ভিকটিম সোহাগকে তার বন্ধু সুমনসহ একটি সং ঘবদ্ধ অপ হরণকারী চ ক্র প রিকল্পিতভাবে অপহরণের পর আটকে রেখে হাত-পা বেধে নি র্যাতনের ভিডিও তার মায়ের মোবাইলে পাঠিয়ে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছিল। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে এবং জড়িতদের গ্রেফতা রের জন্য অভিযান চলছে।
প্রেসব্রিফিংয়ে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা ডিবির ওসি মাইনুদ্দিন খান, ব্রাহ্মণপাড়া থানার ওসি শাহজাহান কবির, ডিবি এলআইসি টিমের প্রধান এসআই মোহা. ইকতিয়ার উদ্দিন, থানার এসআই বাবুল হোসেন।
Leave a Reply