রবিউল হোসেন।।
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার কোমাল্লায় পুলিশের সাথে ডাকাতদলের বন্ধুকযুদ্ধে ৩ ডাকাত নিহত। এঘটনায় বুড়িচং থানার ওসিসহ ৫পুলিশ আহত হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ৭টি মুখোশ,একটি পিস্তল,১টি পাইপগান,৪রাউন্ড গুলিসহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার।
জানা গেছে, রোববার দিবাগত রাত আড়াইটায় জেলার পীরযাত্রাপুর ইউনিয়নের কোমাল্লা গ্রামে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে পুলিশের সাথে বন্ধুকযুদ্ধের ঘটনাটি ঘটে।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, ৪রাউন্ড গুলি, একটিপাইপগান, ২টিছোড়াঁ, ১টি ডেগার, ৭টি মুখোশ, টর্চ ২টি,৩টি স্কু ডাইভার, ৩টি মোবাইল, ১টি জিআইপাইপ,গুলির খোসা উদ্ধার করে।
পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহতরা হলেন- বুড়িচং উপজেলার জগতপুর এলাকার মৃত আবুল হাশেমের ছেলে ডাকাত অলি মিয়া(৪২),দেবিদ্বার উপজেলার চরবাকর এলাকার জয়নাল আবেদীনের ছেলে বাবুল মিয়া(৩৮) ব্রাহ্মনপাড়া উপজেলার গোপাল নগর এলাকার তাজুল ইসলামের ছেলে এরশাদ মিয়া(২৬), ।
আহতরা হলেন, বুড়িচং থানার ওসি আকুল চন্দ্র বিশ^াস, এসআই মো: মোয়াজ্জেম, এএসআই মহিউদ্দিন, এসআই পুষ্প বরণ চাকমা ও পুলিশ কনস্টেবল রফিকুল। নিহত ডাকাতদের বিরুদ্ধে বুড়িচং থানায় ডাকাতিসহ বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে।
বুড়িচং থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) আকুল চন্দ্র বিশ^াস ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান- রোববার দিবাগত রাত আড়াইটায় গোপনসংবাদের ভিত্তিতে বুড়িচংয়ের কোমাল্লা গ্রামে ডাকাতির প্রস্তুতির খবরে পুলিশ সেখানে যায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতদল পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাতারি গুলি ছোড়েঁ। পুলিশ ও আতœরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছোড়েঁ। খবর পেয়ে থানা থেকে পুলিশের আরেকটি টিম ঘটনাস্থলে যায়। এসময় ৩ডাকাত গুলিবিদ্ধ হয়। ৫পুলিশ আহত হয়।গুলিবিদ্ধ ৩ডাকাতকে কুমেক হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরবর্তীতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই সহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে ডিবিপুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে যায়। পরে পুলিশের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করে ডাকাতদল পিঠু হটে পালিয়ে গেছে।
Leave a Reply