(সাকিব আল হেলাল,কুমিল্লা)
কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার ঝলম ইউনিয়নের গোয়ালী গ্রামে অাপন চাচীর সাথে পরকী’য়ার জের ধরে চাচী খাদিজা বেগম তার ভাসুর পুত্র জোবায়ের হোসেনের পুরুষাঙ্গ কে’টে ফেলে দেয়।
সরেজমিনে গোয়ালী জোবায়ের হোসেনের বাড়ি গিয়ে জানা যায়,গত শনিবার (৭ মার্চ) সন্ধ্যায় পাশ্ববর্তি চান্দিনা উপজেলা ভৌমরী গ্রামের খাদিজা বেগম (২২) নামে এক যুবতী মুঠো ফোনে কৌশলে ডেকে নিয়ে জোবায়েরকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে জোবায়ের তাৎক্ষনিক রাজি না হওয়ায় খাদিজার বাবা জোবায়েরেরর হাত চেপে ধরে এবং মা পায়ে চাপ দিয়ে ধরে খাদিজা যোবায়েরের পুরুষাঙ্গ কে’টে মাটিতে ফেলে দেয়।যোবায়েরেরর চি’ৎকারে অাশে পাশের মানুষ ছুটে এসে চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন।পরিস্থিত অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়।
আহতের চাচা জসিম উদ্দিন ও নিকটাত্মীয় রতন মিয়া সাংবাদিকদের জানান,যোবায়ের ও চাচী খাদিজার মাঝে দীর্ঘদিন পরকীয়াসহ অ’বৈধ সম্পর্ক ছিল। তা নিয়ে পরিবারে অনেক ঝামেলা ছিল। কিন্তু খাদিজার এই অ’বৈধ সম্পর্কের কথা খাদিজার প্রবাসী স্বামী অর্থাৎ যোবায়েরের প্রবাসী চাচা জেনে গেলে পরিবারে অনেক অশা’ন্তি নেমে অাসে।ফলে যোবায়েরের প্রবাসী চাচা সিদ্ধান্ত নেয় খাদিজাকে তালা’ক দিবে।পরে পারিবারিকভাবে গত এক বছর পূর্বে খাদিজাকে সামাজিক লোকদের সাথে নিয়ে বসে দেনমোহরের তিন লক্ষ টাকা দিয়ে খাদিজাকে তালাক খাদিজার প্রবাসী স্বামী।খাদিজা বাপের বাড়ি চলে যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যোবায়ের কয়েকজন বন্ধু বলেন,খাদিজা তালাকপ্রাপ্ত হয়ে বাপের বাড়ি চলে গেলেও খাদিজার সাথে গোপন সম্পর্ক থেকে যায় যোবায়েরের। যোবায়ের পেশায় সিএনজি চালক। নিজ পরিবারের অজান্তে যোবায়েরের খাদিজার সাথে মুঠো ফোনে নিয়মিত কথা হতো। মাঝে মাঝে খাদিজার অনুরোধে যোবায়ের খাদিজার বাড়ি যেতো।এভাবে চলছিল প্রায় বছর খানেক তাদের অ’বৈধ সম্পর্ক।
পরে গত শনিবার (৮ মার্চ) সন্ধ্যায় খাদিজা মুঠো ফোনে বলে খাদিজার বাড়ি চান্দিনা উপজেলার ভৌমারী গ্রামে খাদিজার বাড়িতে যেতে সেখানে বিয়ের করতে চাপ দেওয়া তাৎক্ষনিক রাজি না হওয়ায় যুবায়েরর পুরুষাঙ্গ কে’টে ফেলে দেওয়া হয় বলে জানান তার পরিবারের লোকজন।
যোবায়েরের নিকটাত্মীয় রতন বলেন,তার পুরুষাঙ্গ অর্ধেকটা কে’টে ফেলে দেয় খাদিজা। পরে চিকিৎসক অপরেশন করে পুরোটা ফেলে দেয়।
এ বিষয়ে যোবায়ের মা মুঠো ফোনে বলেন,অামরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অাছি।তার অবস্থা ভালো না। অাল্লাহ জানে বাঁচবে নাকি মরে যাবে।আমি বাড়িতে এসে খাদিজা ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে অঙ্গহানির মাম’লা করবো”।
আহত যোবায়ের বরুড়া উপজেলার জলম গ্রামের মোঃ নজির আহমেদের ছেলে। সে পেশায় একজন সিএনজি অটো রিকসা চালক।
এ বিষয়ে চান্দিনা থানার উপ পরিদর্শক (এস আই) আহাদ আহত যোবায়ের বরাত দিয়ে জানান, দীর্ঘ দিন যাবত ওই মেয়ের সাথে প্রেম ছিল। ঘটনার দিন মেয়ের পরিবার ফোন করে নিয়ে বিয়ের চাপ দিলে যোবায়ের এখন বিয়ে করতে রাজী হয়নি। এতে মেয়ের পরিবার ক্ষিপ্ত হয়ে তার পুরুসাঙ্গ জোর করে কে’টে দেয়।
Leave a Reply