নিজস্ব প্রতিবেদক:
কুমিল্লার দাউদকান্দিতে প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে খাদে পড়ে দাদা-দাদিও নাতি নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৭ জুলাই) ভোর সাড়ে ৫টায় কুমিল্লার দাউদকান্দি ও চাঁদপুরের মতলব সড়কের কাজিরকোনা এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। তারা ঢাকা থেকে চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ যাচ্ছিলেন।
নিহতরা হলেন, চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ এলাকার সিরাজুল ইসলাম (৮০), তার স্ত্রী জাহানারা বেগম (৭০) ও ১২ বছরের নাতি আবু বকর সিদ্দিক।
দাউদকান্দি থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, ঢাকা থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে তিন জন নিহত হন। দুর্ঘটনা কবলিত গাড়িসহ লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের প্রস্তুতি চলছে।
এবার করোনায় আক্রান্ত মাশরাফির স্ত্রী
একের পর এক ঝড় বয়ে যাচ্ছে মাশরাফি বিন মুর্তজার ওপর দিয়ে। নিজে করোনা আক্রান্ত হয়ে দুই সপ্তাহ ধরে বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন। মাশরাফির সেবা করতে গিয়ে এবার করোনা আক্রান্ত হয়েছেন তার স্ত্রী সুমনা হক সুমি। এর আগে মাশরাফির ছোট ভাই মোরসালিন বিন মুর্তজাও করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।
সাবেক এই অধিনায়ক করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর দুই সন্তানকে নড়াইলে দাদা-দাদীর কাছে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। শুধুমাত্র স্ত্রী সুমি মাশরাফির সেবা করতে থেকে যান ঢাকার বাসাতে।মাশরাফির পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে ঢাকার বাসায় থেকে মাশরাফির স্ত্রী চিকিৎসা নিচ্ছেন। করোনা আক্রান্ত হলেও সুমির শারীরিক অবস্থা ভালো রয়েছে।
এই অবস্থায় দুই সন্তানকে ছেড়ে থাকাটা কত কষ্টের, মঙ্গলবার করোনাভাইরাস বিস্তার প্রতিরোধক এক ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নিয়ে সেটিই বলেছেন মাশরাফি, ‘আমি আমার সন্তানদের থেকে দীর্ঘ ১৭ দিন বিচ্ছিন্ন আছি, একজন পিতা হিসেবে এটা কতটা কষ্টের, তা বলে বোঝানো যাবে না। আমি আমার পরিবারের সদস্যদের থেকে বিচ্ছিন্ন আছি। তারাও আমার কাছে আসতে পারছেন না, এটা অনেক বেদনার।’
করোনায় সাধারণ মানুষের জীবন যখন বিপর্যস্ত, তখন থেকেই নড়াইলের মানুষের পাশে নিঃস্বার্থভাবে দাঁড়িয়েছেন নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি। গত ২০ জুন তার শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়ে। এর ১৪ দিন পেরিয়ে গেলেও করোনা থেকে মুক্ত হতে পারেননি। গত দুই সপ্তাহ বাসায় থেকেই চিকিৎসা নিয়েছেন। কয়েকদিন আগে দ্বিতীয় টেস্ট করালে আগের ফলই বহাল থেকেছে- পজিটিভ। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই মাশরাফির তৃতীয় টেস্ট করানো হবে।
Leave a Reply