কুমিল্লার সদর দক্ষিণ, দেবিদ্বার, ব্রাহ্মণপাড়ার পৃথক স্থান থেকে নারীসহ তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
সদর দক্ষিণ:
কুমিল্লা সদর দক্ষিণে অজ্ঞাত যুবকের (২৫) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে জেলখানা বাড়ি এলাকা থেকে সদর দক্ষিণ মডেল থানা পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে।
সূত্রে জানা যায়,জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার বিজয়পুর ইউনিয়নের জেলখানা বাড়ি এলাকায় এক যুবকের লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা সদর দক্ষিণ মডেল থানা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
অজ্ঞাত যুবকটি মানুষিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় ওই এলাকায় দীর্ঘদিন যাবত রাস্তায় চলাফেলা করত বলে জানা যায়।
এ ব্যাপারে সদর দক্ষিণ মডেল থানার ওসি (তদন্ত) কমল কৃষ্ণ ধর জানান,লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
দেবিদ্বার
কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার পৌর এলাকার বড়আলমপুর এলাকায় গোমতী নদীতে ভাসছে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ ।
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার সকালের দিকে নদী দিয়ে ভেঙ্গে আসা লাশ কচুরিপানায় আটকে যায়।
তবে এ বিষয়ে দুপুর ২টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানা পুলিশ কিছুই জানে না বলে জানিয়েছে। দেবিদ্বার থানার ওসি জহিরুল আনোয়ার জানান, এ বিষয়ে এখনো কেউ থানায় খবর দেয়নি, খোজ খবর নেয়া হচ্ছে।
ব্রাহ্মণপাড়া
সংসারের অভাব অনটন নিয়ে স্বামীর সাথে অভিমান করে কেরির বড়ি খেয়ে দুই সন্তানের এক জননী আতœহত্যা করেছে।
কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার কুন্দুঘর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য কুমিল্লা মর্গে প্রেরন করেছে পুলিশ। এব্যপারে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
থানা ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের কান্দুঘর পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত সামসুল হক মাষ্টারের ছেলে হার্ডওয়ার দোকানের কর্মচারী আবদুল্লাহ আল মুহিতের সাথে বুড়িচং উপজেলার শুভারামপুর গ্রামের রাবেয়া বেগম (২৭) এর সাথে ইসলামী শরিয়া মোতাবেক গত ৭ বছর পূর্বে বিয়ে সম্পন্ন হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের ৪ বছরের একটি প্রতিবান্ধী ছেলে ও দুই বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। স্বল্প বেতনে চাকুরীরত মুহিত বেশ কিছুদিন যাবৎ সংসার চালাতে হিমসিম খাচ্ছিল। অভাবের সংসারে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে প্রায়ই ঝগড়া লেগে থাকত।
বুধবার রাতে এ নিয়ে উভয়ের মাঝে মাত্রাতিরিক্ত ঝগড়ার কারনে রাগে ক্ষোভে স্বামীর বাড়ীতে স্ত্রী রাবেয়া ঘরে থাকা কেরির বড়ি খেয়ে আহত হয়ে পড়লে স্বামী ও বাড়ীর লোকজন তাকে দেবিদ্ধার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেবার পথে রাত পৌনে ১০ টায় তার মৃত্যু হলে তাকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনা হয়। খবর পেয়ে থানার এসআই জাকির হোসেন ও সঙ্গীয় ফোর্স রাত ২ টায় লাশের প্রাথমিক সোরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে লাশ ময়না তদন্তের জন্য বৃহস্পতিবার কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ মর্গে প্রেরন করে।
এব্যপারে নিহতের মা হামিদা বেগম বাদী হয়ে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করেছে। থানার ওসি এসএএম শাহজাহান কবির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
Leave a Reply