অনলাইন ডেস্ক:
কুমিল্লার লাকসামে পারিবারিক বিরোধের জেরে গৃহবধূর শরীরে এসিড নিক্ষেপ করে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। শুক্রবার গভীর রাতে লাকসাম গোবিন্দপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামে এসিড নিক্ষেপের ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয় সূত্র জানায়, গোবিন্দপুর গ্রামের অজিউল্লাহার ছেলে আহসান কবির পারিবারিক বিরোধকে কেন্দ্র করে ঘরের জানালার গ্লাস ভেঙ্গে তার স্ত্রী হাসিনার আক্তার পান্নার (৪৫) শরীরে এসিড নিক্ষেপ করে। এতে তার হাত-পা ও শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ পুড়ে যায়। তখন তিনি চিৎকার করলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে। বর্তমানে তিনি কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বার্ণ ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
হাসিনার আক্তার পান্না অভিযোগ করে বলেন, আমার দুই সন্তান চট্টগ্রামে পড়া-লেখা করে। শুক্রবার রাতে আমি একা বাড়িতে ছিলাম। আমার স্বামী অন্য একটি বিয়ে করার পর থেকে বাড়িতে আসেন না। এই নিয়ে আমাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক বিরোধ চলে আসছে। শুক্রবার রাত আনুমানিক ২টায় ঘরের গ্লাস ভেঙ্গে আমার শরীরে এসিড নিক্ষেপ করে। আমি তখন ঘুমে। শরীর জলাপরা শুরু করলে আমি লাফ দিয়ে উঠি। এরপর ৪/৫ জন ব্যক্তি আরও একাধিকবার আমার শরীরে এসিড নিক্ষেপ করে হত্যার চেষ্টা চালায়। তখন আমি পাগল হয়ে বাথরুমে গিয়ে চিৎকার শুরু করি। স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি হাসপাতালে নিয়ে যায়।
ছেলে আবদুর রহমান তানিম বলেন, আমি আর আমার বোন চট্টগ্রামে থাকি। আমার মায়ের উপরে এসিড নিক্ষেপের কথা শুনে আমরা এসে মাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এসেছি। আমার মা-বাবার মধ্যে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছে। আমার বাবা ছাড়া আমাদের কোন শত্রু নেই। ধারণা বাবা আমার মাকে হত্যা করার জন্য এসিড নিক্ষেপ করেছে।
অভিযুক্ত স্বামী অজিউল্লাহ বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমি বাড়িতে থাকি না দীর্ঘদিন। আমি এধরনের কোন অভিযোগের সাথে জড়িত নই। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসেছে। তদন্ত করলে প্রমাণিত হবে কে বা কারা এসিড নিক্ষেপ করেছে।
গোবিন্দপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন শামিম বলেন, এসিড নিক্ষেপের বিষয়টি শুনেছি। তবে কে বা কারা ওই মহিলার উপর এসডি নিক্ষেপ করেছে বিষয়টি নিশ্চিত না। তবে ঘটনাটি নিয়ে পুলিশ তদন্ত করতেছে।
লাকসাম থানার ওসি মনোজ কুমার দে বলেন, এসিড নিক্ষেপ বিষয়টি শুনার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছে। এখনও কোন অভিযোগ হয়নি। অভিযোগ হলে বিষয়টি তদন্ত করা হবে।
Leave a Reply