চৌদ্দগ্রাম প্রতিনিধি :
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে দুইটি গরু ও দুইটি ছাগল চুরির মামলায় ইউপি সদস্য আবদুল জলিল খাঁজাকে গ্রে’প্তার করেছে পুলিশ। তিনি উপজেলার উজিরপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার ও বলহরা গ্রামের মৃত আলী মিয়ার পুত্র। এলাকাবাসী ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে বলহরা গ্রামের সফিউর রহমান কিশোরের মালিকানাধীন সর্দার ফার্মে বগুড়া সদর থানার কোশায়খোলা গ্রামের গোলাম রাব্বানী লিমন কেয়ার টেকার হিসেবে চাকুরী করতো।
লিমনের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলে বলহরা গ্রামের স্থানীয় ইউপি মেম্বার আবদুল জলিল খাঁজা ও পাশ্ববর্তী সদর দক্ষিণ উপজেলার জয়নগর গ্রামের আবুল মিয়া। গত ১১ এপ্রিল শনিবার রাতে কেয়ারটেকার লিমন, আবুল মিয়া ও মেম্বার আবদুল জলিল খাঁজার যোগসাজশে ফার্মে থাকা দুইটি গরু ও দুইটি ছাগল চুরি হয়। পরদিন রোববার সকালে স্থানীয় ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে আবুল মিয়ার বাড়ির উঠানে গাছের সাথে বাধা দুইটি ছাগল দেখা যায়। গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মাধ্যমে ছাগলগুলো নিজ হেফাজতে নেয় সফিউর রহমান কিশোর। পরে কেয়ারটেকার লিমনকে সুয়াগাজী বাজাস্থ আবুল মিয়ার স্বমিল থেকে আটক করে উপস্থিত লোকজনের সামনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে লিমন জানায়, আবুল মিয়া ও ইউপি মেম্বার আবদুল জলিল খাঁজাসহ আরও ৪-৫ জন পরস্পরের যোগসাজশে দুইটি গরু ও দুইটি ছাগল চুরি করেছে। চোরাই যাওয়া গরু দুইটি আবুল মিয়া ও আবদুল জলিল খাঁজার হেফাজতে রয়েছে। এ ঘটনায় ফার্মের কেয়ার টেকার গোলাম রাব্বানী লিমনকে থানায় সোপর্দ শেষে প্রধান আসামী করে একটি মামলা দায়ের করে। মামলার অপর আসামীরা হলেন-বলহরা গ্রামের ইউপি মেম্বার আবদুল জলিল খাঁজা ও জয়নগর গ্রামের আবুল মিয়া। পুলিশ মামলার সূত্র ধরে আসামী আবদুল জলিল খাঁজাকে গ্রেপ্তা’র করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চৌদ্দগ্রাম থানার এসআই আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘গরু চুরির ঘটনায় প্রধান আসামী লিমনের স্বীকারোক্তি ও মামলায় আসামী হওয়ায় ইউপি মেম্বার আবদুল জলিল খাঁজাকে গ্রে’প্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে’।
Leave a Reply