(অমিত মজুমদার, কুমিল্লা)
কুমিল্লা মহানগরীর দক্ষিণ ঠাকুরপাড়া রামকৃষ্ণ মিশন ও রামকৃষ্ণ আশ্রমে এবারও মহাষ্টমী তিথিতে কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে মহাষ্টমী কল্পারম্ভ ও মহাষ্টমী বিহিত পূজা হয়। ঢাক-ঘণ্টা’র বাদ্য-বাজনা আর ভক্তদের পূজা-অর্চণায় মূখর হয়ে ওঠে কুমিল্লা রামকৃষ্ণ আশ্রম। কুমারী পূজাতে দর্শনার্থীদের প্রচুর ভীড় করে।
এ বছর কুমারী দেবী হলেন ধর্মসাগর পাড় এলাকার চন্দন চক্রবর্তীর একমাত্র মেয়ে জয়ন্তী চক্রবর্ত্তী বৃন্দা। শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সাইফুল ইসলাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্রী। তার বাবা নগরীর একটি মন্দিরের পুরোহিত।তন্ত্রসার অনুযায়ী কুমারী দেবীর ৯ বছরের হওয়ায় তার নাম হয়েছে কালসন্দর্ভা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তানভীর সালেহীন ইমন।রামকৃষ্ণ মিশন ও রামকৃষ্ণ আশ্রমের সভাপতি শান্তি রঞ্জন ভৌমিক।
কুমিল্লা রামকৃষ্ণ আশ্রমের অধ্যক্ষ স্বামী বিশ্বেশ্বরানন্দ বলেন, মর্তলোকে গিরিরাজ বা হিমালয় কন্যা উমা অসুরদলনী মাহিষাসুরমর্দিণী এবং ভক্তজনের দুর্গতিনাশিনী দুর্গা। তিনি আবার শিবকে পতিরূপে বরণ করে কৈলাসে ঘর-সংসারও পেতেছেন। প্রতিবছর শরৎকালে পুত্র-কন্যা সমভিব্যহারে আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষে চারটি দিনের জন্য তাকে পিতৃগৃহে বা মর্তে আসতে হয় ভক্তজনের পূজা গ্রহণ করতে। এই চারদিনের একদিন তাকে কুমারীরুপেও পূজা করা হয়।
একটি কুমারী কন্যাকে প্রতীক হিসেবে তার পাশে বসিয়ে। দেবী ভগবতী এখানে কুমারী রূপেই অবতীর্ন।
রামকৃষ্ণ মিশন ও রামকৃষ্ণ আশ্রমের সভাপতি শান্তি রঞ্জন ভৌমিক শান্তিপূর্ণভাবে কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হওয়ায় আইনশৃঙ্গলা বাহিনীসহ সকল ভক্তদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে।
কুমিল্লা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তানভীর সালেহীন ইমন জানান, পূজার শুরু থেকে দিন রাত সবার নিরাপত্তা নিশ্চিতে আমরা সচেতন রয়েছি। আশা করি পূজার বাকিদিনগুলোও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে বাঙালি হিন্দু সনাতন ধর্ম্মালম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয়া দুর্গা পূজা চলছে। এই উৎসবকে ঘিরে সারা দেশের মতো কুমিল্লাতে প্রায় ৭৯৬টি পূজা মণ্ডবে এখন আনন্দ মূখর। শারদীয়া দূর্গোৎসবকে সামনে রেখে যে কোনো ধরনের নাশকতা এড়াতে জেলার সর্বত্র নেওয়া হয়েছে সর্বাত্মক নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
Leave a Reply