(মাহফুজ নান্টু, কুমিল্লা)
উপজেলায় একজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন । আক্রান্ত লোকটি ঢাকায় একটি চালের আড়তে চাকরী করতেন।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোসা: রাশেদা আক্তার। বৃহস্পতিবার তার রিপোর্ট আসে। রিপোর্টে তার করোনা ধরা পড়েছে।
জানা যায়, কুমিল্লা তিতাস উপজেলার বিরামকান্দির গ্রামের আক্রান্ত ব্যক্তি গত চারদিন আগে ঢাকায় আক্রান্ত হন। তার বয়স ৪৮। পরে তার শরীরে করোনার উপসর্গ দেখা দিলে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ তার নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় প্রেরণ করে।এদিকে খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাশেদা আক্তার আক্রান্ত ব্যক্তির গ্রাম বিরামকান্দিকে লকডাউন ঘোষনা করে।
বিষয়টি নিয়ে কুমিল্লা জেলা সিভিল সার্জন নিয়াতুজ্জামান জানান, আক্রান্ত ব্যক্তি ঢাকায় একটা চাল কলে কাজ করতেন। করোনা উপসর্গ দেখা যাওয়ায় গত ৮ তারিখে তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা কি কোথায় এমন প্রশ্নের জবাবে সিভিল সার্জন নিয়াতুজ্জামান জানান, আপাতত বাড়ীতে চিকিৎসা চলবে। উপজেলা থেকে তার শারিরিক অবস্থার মনিটরিং করা হবে। তার পর অবস্থা বুঝে উপজেলার আইশোলেশন নতুবা জেলায় তাকে আনা হবে।
এদিকে
কুমিল্লা বুড়িচংয়ে দুই শিশু করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিভিল সার্জন ডা: নিয়াতুজ্জামান। এদিকে দুই শিশুর করোনা পজেটিভ হওয়ায় বুড়িচং উপজেলা প্রশাসন ময়নামতি ইউনিয়নের জিয়াপুর গ্রামটিকে লগডাউন ঘোষনা করে।
জানা যায়, গত রবিবার রাত ১১টার দিকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ব্যবসায়ী গোলাম মোস্তফার মা সাহেদা খাতুনের (৬৫) মৃ ত্যু হয়। পরে সোমবার মোস্তফা পরিবার নিয়ে বুড়িচংয়ে গ্রামের বাড়িতে চলে আসেন। এ খবর পেয়ে প্রশাসন থেকে ওই পরিবারটিকে লকডাউন করা হয়। পরে স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে ওই পরিবারের ছয় জনের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হয়। আজ রিপোর্টে ওই পরিবারের দুই শিশু করোনা পজেটিভ ধরা পরে।
Leave a Reply