আকিবুল ইসলাম হারেছঃ
চান্দিনায় এক যুগ ধরে সরকারি বিধিমালা উপেক্ষা করে প্রাইভেট চেম্বার করছেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগের সহকারি অধ্যাপক ডা. এম.এ রউফ। বিধিমোতাবেক কর্মদিবসে নিজ কর্মস্থলে দায়িত্বপালনের কথা তার।
দীর্ঘ প্রায় এক যুগ যাবৎ চান্দিনা উপজেলা সদরের ‘জননী মেডিকেল সেন্টার’ নামে একটি প্রাইভেট হাসপাতালে সপ্তাহের প্রতি বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত রোগী দেখেন তিনি।
একটি সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারি অধ্যাপক দীর্ঘ এক যুগ যাবৎ অফিস চলাকালিন সময়ে কিভাবে প্রাইভেট চেম্বারে রোগী দেখেন এমন প্রশ্ন জাগে চান্দিনার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের মনে।
ওই চিকিৎসকের এমবিবিএস সনদ নিয়ে সন্দেহ জাগে বিভিন্ন চিকিৎসকদের মনেও। অভিযোগ যায় উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আনোয়ার উল্যাহ্’র কাছে। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় চান্দিনার জননী মেডিকেল সেন্টারে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বিভীষণ কান্তি দাশের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে ওই প্রাইভেট হাসপাতালে বিভিন্ন অনিয়ম থাকায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এসময় ওই চিকিৎসক আব্দুর রউফ তাৎক্ষণিক ভাবে তার বিএমডিসি নম্বর বলতে না পারায় এবং অফিস চলাকালিন সময়ে প্রাইভেট চেম্বারে রোগী দেখার কারণে তাকে নিয়ে আসা হয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্যালয়ে।
পরে যাচাই বাছাই শেষে জানা যায়, তিনি ২০তম বিসিএসে (স্বাস্থ্য) নিয়োগকৃত একজন চিকিৎসক এবং শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারি অধ্যাপক।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বিভীষণ কান্তি দাশ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, কর্মদিবস চলাকালিন সময়ে প্রাইভেট চেম্বারে রোগী দেখা এবং ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালাকালিন সময়ে ওই চিকিৎসক তার বিএমডিসি নম্বর বলতে না পারায় উপজেলায় নিয়ে আসা হয়েছিল। পরে যাচাই-বাছাই করে জানা যায় তিনি প্রকৃত চিকিৎসক। কর্মস্থল ফাঁকি দিয়ে বিভিন্ন সময় প্রাইভেট চেম্বারে রোগী দেখার জন্য তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন এবং ভবিষ্যতে এমনটা আর হবে না বলে কথা দিলে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহাকরি কমিশনার (ভূমি) নাঈমা ইসলাম, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আনোয়ার উল্যাহ্, আরএমও ডা. গাজী মাহমুদুল হাসান, চান্দিনা থানা পুলিশ।
Leave a Reply