( জাগো কুমিল্লা.কম)
কুমিল্লায় কর্মরত অন্তত ৫৫ জন চিকিৎসকে এক সাথে রংপুর, বরিশাল, খুলনা বিভাগে বদিল করা হয়েছে। এর মধ্যে কুমিল্লা সদর হাসপাতালে ডেপুটেশনে থাকা গাইনী ও সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক রয়েছেন। বদলি হওয়া চিকিৎসকদের বেশির বাগের প্রাইভেট প্র্যাক্টিসে কদর রয়েছে।
এই ৫৫ জনের মধ্যে ৪৪ জনের বাড়িও জন্মসূত্রে কুমিল্লায়। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের উপ সচিব রোকেয়া বেগম এ বদলির আদেশ দেন। গত ২৪ মে এ আদেশ সাক্ষর হয়। বদলির আদেশ হওয়ার পর ৫৫ জনের মধ্যে মাত্র ২জন চিকিৎসক ছাড়পত্র গ্রহণ করেছেন।
যদিও ৩১ মে পর্যন্ত নতুন পদায়নকৃত কর্মস্থলে যোগদানের জন্য সময় বেঁধে দিয়েছে মন্ত্রণালয়। এ সময়ের মধ্যে নতুন কর্মস্থলে যোগ না দিলে ৩ জুন থেকে তারা অবমুক্ত বলে গণ্য হবেন। মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সন্মারক নং-৪৫৩১৪৪.০১৯.০০.০০.০০৭.২০১৬.২০৭ ও ২০৮ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। জানা গেছে, বদলি হওয়া চিকিৎসকদের অনেকে ব্যস্ত থাকেন প্রাইভেট প্রাকটিসে। বদলি ঠেকাতে তারা এখন ঢাকায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।
বদলি হওয়া চিকিৎসকদের মধ্যে রয়েছেন, কুমিল্লা সদর হাসপাতালের ডেপুটেশনে থাকা এ্যানেসথ্যাসিয়ার সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মো: রেজাউল ইসলাম, গাইনীর সিনিয়ল কনসালটেন্ড ডা. কামরুন সাত্তার, ডা. শান্তনা রানী পাল, ডা. রাজিয়অ বেগম, সার্জারি সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. এসএম সফিউল আজম চৌধুরী, ইএনটির ডা. শামসুদ্দিন আহমদ, চৌদ্দগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডা. ফারুক আহমদ, ডা. অঞ্জন কুমার দাস, ডা. জাহানারা সুলতানা, নাঙ্গলকোট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডা. শওকত আলী, ডা. আ.ন.ম. শহিদুল ইসলাম ভূইয়া, লাকসাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডা. মো: ইব্রাহিম খলিল, বরুড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডা. মোহাম্মদ মাহবুবুল আলম,
হোমনার ডা. আমির হোসেন, ডা. মুহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, চান্দিনার ডা. ফাহমিনা বেগম, মুরাদনগরের ডা. কাজী মো: রবিউল আলম, দাউদকান্দির ডা. জামাল উদ্দিন, ডা. ফারজানা ইসলাম, ডা. আবু কাউছার মো: নাছের মাহমুদ, দেবিদ্বারের ডা. জাকির হোসেন, নাঙ্গলকোটের জোড্ডার ডা. জাহাঙ্গীর আলম, লাকসামের বাকইয়ের ডা. মোহাম্মদ কামরুল হাসান, মনোহরগঞ্জের ডা. এ এম এম সায়েম, মনোহরগঞ্জের উত্তর হাওলার ডা. রাজীব গুহ, ঝলম দক্ষিণের ডা. জামাল হোসাইন, বরুড়ার খোশবাসের ডা. মো: জামিল সিদ্দিকী ভূইয়া, বরুড়ার আদ্রার ডা. নির্ঝর ভৌমিক, হোমনার ডা. আক্তার আলম, দুলালপুরের ডা. মো: শহীদ উল্লাহ, চান্দিনার সুবিলের ডা. আরিফুর রহমান,
করকৈটের ডা. গাজী মাহমুদুল হাসান, গল্লাইয়ের ডা. মামুনুর রশিদ, মুরাদনগরের জাহাপুরের ডা. আবদুল্লাহ আল মামুন, বাঙ্গড়ার ডা. মো: মিজানুর রহমান, মহাখালী স্বাস্থ্য সদরে ওএসডি থাকা দাউদকান্দির ডা. মহিউদ্দিন রুবেল, দাউদকান্দির ডা. গোলাম ফরহাদ জিলানী, পাচগাছিয়ার ডা. মোয়াজ্জেম হোসেন সরকারG
বোয়ালমারির ডা. কাজী ফাইয়াদ মাহমুদ, বারপাড়ার ডা. মো: আল আমিন মিয়াজী, জিংলাতলীর ডা. মিয়া মমতাজ দৌলত আলম, দেবিদ্বারের ডা. মো: আশরাফুল ইসলাম, রাজামেহেরের ডা. কামরুজ্জামান সরকার, বুড়িচংয়ের ডা. মো: মীর হোসেন, ডা. মো: আশেকুর রহমান, বাকশিমূলের ডা. মো: মনিরুল ইসলাম, ব্রাণপাড়ার শশীদলের ডা. বেলাল হোসেন, তিতাসের ডা. আবু ছালে মো: ইসমাইল, তিতাসের বাতাকান্দির ডা. মশিউর রহমান সরকার, আসমানিয়ার ডা. মাহমুদ হোসেন ইব্রাহিম, সাতানির ডা. আশরাফুল হক, চন্দনপুরের ডা. খলিলুর রহমান খবীর, লুটের চরের ডা. গোলাম মাহমুদ।
স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের উপ-সচিব রোকেয়া বেগম জানিয়েছেন, পদায়নকৃত কর্মকর্তাগণ ৩১ মের মধ্যে পদায়নকৃত কর্মস্থলে যোগদান করবেন। অন্যথায় আগামী ৩ জুনের মধ্যে তারা তাৎক্ষণিকভাবে অবমুক্ত হবে।
কুমিল্লার সিভিল সার্জন ডা. মো: মুজিবুর রহমান জানান, কুমিল্লার বাসিন্দা চিকিৎসক বেশি বলে এ বদলি করা হয়েছে। বদলি হওয়াদের মধ্যে মাত্র দুইজন ছাড়পত্র নিয়েছেন। এটি শাস্তিমূলক বদলি নয়।
জানা গেছে, স্বাস্থ্য সেবা প্রত্যাশিদের অভিযোগ রয়েছে অনেক চিকিৎসক তাদের কর্মস্থলে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন না করে প্রাইভেট প্র্যাকটিসে ব্যস্ত থাকেন। বদলি হওয়াদের মধ্যে প্রাইভেট প্র্যাকটিসে ব্যস্ত চিকিৎসক রয়েছেন।
সূত্র জানায়, অর্থের বিনিময়ে এ বদলি ঠেকাতে চিকিৎসকরা ব্যস্ত থাকায় ৯৮ ভাগ চিকিৎসক এখানে ছাড়পত্র নেননি। সূত্র: কুমিল্লার কাগজ
Leave a Reply