(মোজাম্মেল হক আলম , লাকসাম)
লাকসামে ৩০ ডিসেম্বর বিএনপি-জামায়াতের নির্বাচনী সহিংসতায় গুরুতর আহত বাকই দক্ষিণ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ফয়েজ উল্যাহ ১০ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে ৯জানুয়ারী রাত সাড়ে ৮টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় চলে গেলেন না ফেরার দেশে।
জানা যায়, বাকই দক্ষিণ ইউপির কৈত্রা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের অদূরে স্থানীয় বিএনপি সন্ত্রাসীদের হামলায় গুরুতর আহত হন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ফয়েজ উল্যাহ। ওইদিন সকালে তিনি ভোট দিয়ে কেন্দ্র থেকে বের হয়ে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় আগে থেকে উৎপেতে থাকা বিএনপি সন্ত্রাসীরা তাকে দারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে।
চিৎকার শুনে তার ছেলে এগিয়ে এলে তাকেও সন্ত্রাসীরা এলোপাথাড়ী কুপিয়ে আহত করে। স্থানীয় লোকজন দুজনকে উদ্ধার করে প্রথমে পাশ্ববর্তী বিজরা একটি হাসপাতালে প্রেরণ করেন। গুরুতর আহত ফয়েজ উল্যাহর অবস্থা সংকটাপন্ন দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক বাবা ও ছেলেকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে ফয়েজ উল্যাহর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। দীর্ঘ ১০ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফয়েজ উল্যাহ চলে যান না ফেরার দেশে। এর আগে ওই ঘটনায় লাকসাম থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল।
স্থানীয় সংসদ সদস্য এলজিআরডি মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম আওয়ামী লীগ নেতা ফয়েজ উল্যাহর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আশ্বাস দিয়েছেন।
তার মৃত্যুর সংবাদে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রণালয়ের নবগঠিত মন্ত্রী পরিষদের মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম পূর্বঘোষিত ১২জানুয়ারী শনিবার লাকসাম পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সংবর্ধনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান স্থগিত করার নির্দেশ প্রদান করেন।
রাতে মুঠোফোনে ফয়জুল্লাহর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লাকসাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোজ কুমার পাল।
Leave a Reply