অনলাইন ডেস্ক:
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার শশীদল রেল ষ্টেশন থেকে স্বামী ও স্ত্রীকে জোরপূ র্বক ধরে নিয়ে স্বামীকে মারধর করে স্ত্রীকে ধ র্ষণের অভিযোগ উঠে। ঘটনাটি গত ২১ ডিসেম্বর শনিবার রাত সাড়ে ৮টার সময় শশীদল রেল ষ্টেশনের পশ্চিম পাশ্বের এলাকায় ঘটে। এঘটনায় থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ধ র্ষকসহ অভিযুক্ত ৫ জনকে আ টক করেছে থানা পুলিশ।
এ ব্যাপারে ধ র্ষিতার স্বামী ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার সদর এলাকার কাউসার মিয়া জানান, আমি ও আমার স্ত্রী গত শনিবার সন্ধ্যায় আখাউড়া থেকে কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার নাল্লা গ্রামে শ্বশুড় বাড়ীতে যাওয়ার উদ্দোশে রওয়ানা দিয়ে রেল গাড়িতে করে শশীদল রেল ষ্টেশনে রাত ৮ টার সময় পৌছাই। রেল থেকে নেমে আমরা চা খাওয়ার জন্য শশীদল ষ্টেশনের নাসির মিয়ার চা দোকানে গিয়ে কিছু সময় বসি এবং চা পান করি। এসময় নাসির মিয়া আমাদের সাথে বিভিন্ন বিষয়ে জানতে চেয়ে কথা বলে।
এক পর্যায়ে চা দোকানের মালিক নাসির মিয়া আমাদের বলেন, এখন রাত্র অনেক হয়েছে, আপনার শ্বশুর বাড়ী নাল্লা এলাকায় যাওয়ার জন্য কোন গাড়ি পাবেন না। তার চেয়ে বরং আপনারা আজ রাতে আমার বাড়ীতে থেকে সকালে উঠে নাল্লায় চলে যাইয়েন। এই বলে সে আমাদের বিভিন্ন ভাবে ফুসলিয়ে তার বাড়ীতে নিয়ে যায়। তার বাড়ীতে নিয়ে আমাদের চা নাস্তা খাওয়াইয়া আমাদের বলে, এখন আমার স্ত্রী ঘুমাবে, সে ঘুমিয়ে যাওয়ার পর তোমরা এসে ঘুমাইও। পরিস্থিতি অনুকূলে না দেখে আমরা এক পর্যায়ে বাড়ী থেকে বের হয়ে যেতে চাইলে সে এবং উৎ পেতে থাকা তার সহযোগীরা আমার ও আমার স্ত্রীর মুখ চেপে ধরে পাশের জমির মাঝ খানে নিয়ে যায়।
সেখানে আমরা চিৎকার করতে চাইলে আমাদের প্রাণনাশের হুমকি দেয় এবং আমাকে নাসির ও তার সহযোগী শশীদল গ্রামের মৃত উলফত আলীর ছেলে জমির হোসেন আ টক করে রেখে মা রধর করে এবং আমার মুখ চেপে ধরে রাখে। অন্যদিকে আমার স্ত্রীকে ওই এলাকার নসু মিয়ার ছেলে লাবু মিয়া একই সময় ধ র্ষণ করে এবং ওই গ্রামের মৃত কাশেম মিয়ার ছেলে নজরুল ইসলাম, মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে সাদ্দাম হোসেন আমার স্ত্রী কে ধ র্ষণের চেষ্টা করে। সেখান থেকে আমি ও আমার স্ত্রীর চিৎকারে এলাকাবাসীর সহায়তায় থানা পুলিশ আমাদের উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে আসে।
এ ব্যপারে ব্রাহ্মণপাড়া থানা অফিসার ইনচার্জ আজম উদ্দিন মাহমুদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, অভিযুক্ত নাসির উদ্দিন, নজরুল ইসলাম, সাদ্দাম হোসেন, লাবু মিয়া ও জমির হোসেনকে আ টক করা হয়েছে। এ ব্যপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
Leave a Reply