(আক্কাস আল মাহমুদ হৃদয়, বুড়িচং)
বুড়িচংয়ে রেললাইনে পাওয়া গেছে ফুটফুটে শিশু। খুব ভোরে কা ন্না শুনতে পেয়ে এবং নবজাতককে পড়ে থাকতে দেখেন গ্রামের এক এক মাছ ব্যবসায়ী । পরে তাকে গামছা দিয়ে মুড়িয়ে পরম মমতায় বাড়িতে নিয়ে যান।
(১৭ এপ্রিল ২০২০)শুক্রবার ভোরে কুমিল্লা জেলার বুড়িচং উপজেলার বাকশীমূল গ্রামের ঢাকা- চট্রগ্রাম ট্রেনচলাচল সড়ক ও কালিকাপুর -বুড়িচং থানা সড়ক সংলগ্নে থেকে শিশুকে পাওয়া যায়।ধারণা করা হচ্ছে, জন্মেও পর পরই তাকে কোনো মা এখানে ফেলে রেখে যান।
স্থানীয় সুত্র জানায়, শুক্রবার (১৭ এপ্রিল ২০২০) ভোর ৫টার দিকে বাকশীমূল গ্রামের গায়েবাজার সংলগ্নে মাছ ব্যবসায়ী মোঃ দেলোয়ার হোসেন নামের এক লোক রিক্সা দিয়ে ভোরে বাজারে যাওয়ার পথে রেললাইনে দ্বারে পোঁছলে নবজাতকের কা ন্না শুনতে পান। আঁচ করতে পারেন তার আশপাশ থেকে কান্নার শব্দটি আসছে।রিক্সা থামিয়ে কাছে যান তিনি। গিয়ে দেখেন নবজাতক ছেলে শিশুটি কাপড় দিয়ে মুড়ানো অবস্থায় পড়ে আছে। হাত-পা নাড়াচ্ছে। কাঁদছে।
রেললাইনে পড়ে থাকতে দেখে দেলোয়ার হোসেনের চোখ ছল ছল করে ওঠলো। পরম মমতায় তিনি শিশুটিকে কোলে তুলে নেন। বাড়িতে নিয়ে গিয়ে শিশুটির সেবা-শুশ্রুষা করেন।রেললাইনে পাওয়ার খবরে এলাকার শত শত মানুষ দেলোয়ার বাড়িতে ভিড় করতে থাকেন। বাড়িতে নেয়ার পর থেকেই ফুটফুটে মায়াবী শিশুটি স্নেহ কাড়ছে সবার। ঠাঁই পাচ্ছে এক কোল থেকে আরেক কোলে।অনেকেই অনেক ধরণের কথাবার্তা বলতেও দেখা গেছে।
দেলোয়ার হোসেনের ছেলে মো: আব্দুল জলিল বাবার কাছে আবদার জানান শিশুটিকে সে লালন পালন করবেন এবং তিনি দাদা হিসেবে পরিচয়ে থাকবেন। তাই বাবা খুশি হয়ে ছেলে জলিলকে দিয়ে দেন কারণ তার ছেলে সন্তান নাই। আ ব্দুল জলিল জানান, আমার একটি মাত্র মেয়ে সন্তান আছে, আরেকটি ছেলে সন্তান প্রয়োজন তাই তিনি তার মেয়ে সন্তানের মতো অদর যত্নে বড় করতে চান বাবার পরিচয়ে। নবজাতক ছেলে শিশুটির নাম রাখা হয় জুনায়েদ।
এ ব্যাপরে বুড়িচং উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরুল হাসান জানান,তারা যদি নবজাতক লালনপালন করতে চায় তাহলে সমাজসেবক অফিস এবং থানায় অবগত করে লালনপালন করিতে পারবে।
এ বিষয়ে বুড়িচং থানার অফিসার ইনচার্জ মো: মোজাম্মেল হক পিপিএম জানান, আমরা এই বিষয়টি শুনেছি বর্তমানে তাদের অাশ্রয়ে থাকুক, যদি নবজাতকে বিষয়ে পিতা- মাতার সন্ধান পাওয়া যায় তাহলে প্রয়োজনী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
Leave a Reply