অনলাইন ডেস্ক:
রাজনীতির মাঠে অাবারো শক্ত অবস্থানের জানান দিলেন তরুণ অাওয়ামীলীগ নেত্রী তাহ্সীন বাহার সূচনা। গত ২৭ ডিসেম্বর কুমিল্লা নগরীতে মোটর সাইকেল ও গাড়ির শোভাযাত্রার মাধ্যমেই তা প্রমাণ হলো। কয়েকশ মোটরসাইকেল সহ বিশাল গাড়ি বহর নিয়ে নৌকার প্রচারনার নামেন তিনি। নৌকা, শেখ হাসিনা ও এমপি বাহারের নামে স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে কুমিল্লা নগর। নগরীর তালপুকুর পাড় থেকে সকালে শোডাউনটি শুরু হয়ে রাণীর বাজার, ঠাকুরপাড়া, টমছমব্রিজ, কান্দিরপাড়, শিল্পকলা, পুশিল লাইন, ঝাউতলা, বাদুরতলা, নজরুল এভিনিউ সহ বেশ কয়েকটি সড়ক প্রদক্ষিণ করে।নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণার পরপরই বাবার জন্য ভোট চেয়ে গণসংযোগ করেছেন কুমিল্লা নগরের অানাচে-কানাচে।
নৌকার প্রচারণায়ও এনেছেন ভিন্নতা ও অাধুনিকতা। জয় বাংলার স্লোগান সম্বলিত লাল সবুজের ক্যাপ, টিশার্ট, থিম সং, ডকুমেন্টারি সহ অনেক কিছুই নিজ থেকে করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন রাজনৈতিক অঙ্গনে। কুমিল্লার অার কোন অাসনে এত সুন্দর ও বিচিত্র প্রচারণা চোখে পড়েনি।তাহসীন বাহার সূচনার শুরুটা সামাজিক অান্দোলনের মাধ্যমে হলেও ধীরে ধীরে কুমিল্লার রাজনীতিতে উজ্জল হয়ে উঠেছেন তিনি। সামাজিক ও সেবামূলক সংগঠন জাগ্রত মানবিকতার মাধ্যমেও দেশব্যাপী অালোচনায় এসেছেন।
জাগ্রত মানবিকতার মাধ্যমে বিনা মূল্যে রক্তদান,অসহায়, অস্বচ্ছল, ক্যান্সার রোগীর চিকিৎসা , শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শীতার্ত মানুষকে সহায়তা ও গরম কাপর দেয়া সহ সামাজিক অবিচার, নারী নির্যাতন সহ বহু প্রতিবন্ধতা ও অন্যায় অত্যাচারের বিরুদ্ধ রুখে উঠেছেন, রাজপথে প্রতিবাদ জানিয়েছেন এই নেত্রী। তাঁর প্রতিটি কাজের ক্ষেত্রে বাবা অা ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের অাদর্শ লালন করেছেন।বাবার সুনাম যাতে বৃদ্ধি পায় সে বিষয়ে ছিলেন দৃড় প্রতিজ্ঞ। তবে, সবক্ষেত্রেই তার পাশে ছায়া হয়ে, শক্তি সাহস অনুপ্রেরণা দিয়েছেন তাঁর স্বামী সাইফুল অালম রনি।যার কথা বলছিলাম তিনি, কুমিল্লার সিটি কর্পোরেশনের রুপকার সিংহ পুরুষ বীর মুক্তিযোদ্ধা অা ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের বড় মেয়ে জাগ্রত মানবিকতার সাধারণ সম্পাদক।
রাজনৈতিক, ঐতিহ্যবাহী ও সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম নেয়ার কারনে রাজনীতি থেকে দূরে যাওয়া সম্ভব হয়নি তাঁর।মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি ক্রমে বাবার হাত ধরে রাজনীতির মাঠে এসে ইতিমধ্যে যতেষ্ট সুনাম অর্জন করেছেন তিনি। কর্মীদের মন জয় করেছেন। শুরুতে কর্মী বাহিনী কম থাকলে ধীরে ধীরে কর্মীর সংখ্যা বেড়ে তা হয়েছে অসংখ্য। ছোট থেকে ধরে বড় সবাই তাহসীন বাহারের নেতৃত্বে আজ ঐক্যবদ্ধ।
নির্বাচনে তাঁর বিশাল কর্মী বাহিনী নিয়ে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। প্রতিদিনই শহর থেকে গ্রামে নির্বাচনী সভা, সমাবেশ, গণসংযোগ করেছেন। সুন্দর ব্যবহার, হাসিমাখা মুখ নিয়ে যাদের কাছেই ভোট চেয়েছেন সবাই ভোট দেয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন, বয়স্ক মহিলাদের জড়িয়ে ধরেছেন, প্রতিদানে পেয়েছেন তাদের দোয়া ভালোবাসা।কুমিল্লার তরুণ, যুব এবং প্রবীনদের কাছে অাস্থার নাম হয়েছে উঠেছে তাহসীন বাহার। বাবার মতো তাহসীনও বিশ্বাস করেন, কুমিল্লা এগুলেই এগুবে বাংলাদেশ।
Leave a Reply