( জাগো কুমিল্লা.কম)
কুমিল্লা বুড়িচংয়ে বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান পরিচালনা করে ভ্রাম্যমান আদালত। এ সময় অরক্ষিত ল্যাব ও কাগজপত্র না থাকায় ও মালিক কাজী জিয়াউল হককে ভুয়া ডাক্তার সনাক্ত করে ১৫ দিনের জেল প্রদান করা হয়। উক্ত প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করা হয়।
রবিবার বিকালে উপজেলার ফকিরবাজার স্কুলের পাশে ময়নামতি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান পরিচালনা করেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো: ফজলে এলাহী ও কুমিল্লা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের এমওডিসি ডা:মোহাম্মদ নাজমুল আলম।
কাগজপত্র না থাকায় ও ময়নামতি ডায়াগনষ্টিক এর মালিক ডা: কাজী জিয়াউল হককে ভুয়া ডাক্তার সনাক্ত করে। এরপর ফকির বাজারের পূর্ব পাশে হৃদয় কুমার দাশকে নগদ দুই হাজার টাকা জরিমানা করেন।
এর আগে কুমিল্লা নগরীর বাগিচাগাঁও পশ্চিম পাড়ায় কুমিল্লা তিতাস হাসপাতালের অনুমোদনের কাগজপত্র না থাকায় এবং নার্সদের কোন শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকায় হাসপাতালের পরিচালক বশির সরকার কে নগদ ৫ হাজার টাকা জরিমানাসহ আগামী ১৫ দিনের মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুমোদন নিয়ে হাসপাতাল চালু করার নির্দেশ দেন।
মোবাইলকোর্ট পরিচালনার বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফজলে এলাহী বলেন, জেলা প্রশাসন জনগণের সেবায় নিয়েজিত। কুমিল্লা জেলা প্রশাসক আবুল ফজল মীর স্যারের দিক নির্দেশনায় কুমিল্লাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে সত্যতা যাচাই করে আমরা অভিযান পরিচালনা করে থাকি। জনগণের সেবাই আমরা সদা প্রস্তুত। ভুয়া ডাক্তার অনুমোদনবিহীন হাসপাতালসহ সকলকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেওয়া হইবে।
উল্লেখ্য বেশ কয়েকদিন ধরে কুমিল্লা জেলা জুড়ে ভুয়া ডাক্তারের ছড়াছড়ি দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল নীতিমালা-২০১০ অনুযায়ী এমবিবিএস পাশকৃত ব্যক্তি ছাড়া তাদের নামের পূর্বে ডাক্তার শব্দ ব্যবহার করিতে পারিবে না। তবে বিএমডিসি’র আইন কে শ্রদ্ধা না করে কুমিল্লা জেলার যততত্র গড়ে উঠেছে আনাড়ী চিকিৎসকদের চেম্বার ও অনুমোদনবিহীন হাসপাতাল প্যাথলজী। এসকল ভুয়া চিকিৎসক,হাসপাতাল বা প্যাথলজী বন্ধে গত কয়েকদিন যাবত মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে আইনের আওতায় এনে অপরাধীদের শাস্তি দেওয়া হচ্ছে।
Leave a Reply