(মাহফুজ নান্টু, কুমিল্লা)
চেহারায় আভিজাত্যর ছাপ, পোশাক-পরিচ্ছেদ পরিপাটি, ব্যবহার করেন বিদেশি ব্র্যান্ডের প্রসাধনী, চলেন দামী গাড়িতে, বাস করেন রাজধানীর , অভিজাত ফ্ল্যাটে। কথাবার্তা বাকপটু। প্রথম দ’র্শনে কেউ ভুল করেও সন্দেহ করবে না যে তিনি সরকারি কোনো উর্ধ্বতন কর্মকর্তা নন।
কখনো পরিচয় দেন ডিআইজি, কখনো পুলিশ সুপার কিংবা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার। তবে সর্বশেষ ইন্সপেক্টরের নীচে তার পরিচয় দেননি। সর্বশেষ পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগে চাকরী দেয়ার কথা বলে হাতিয়ে নিয়েছেন ১১ লাখ টাকা। এই অভিযোগে কুমিল্লা জেলা পুলিশের অভিযানে ঢাকার খিলগাও সি বøক থেকে আ টক করা হয়।আটক ফখরুদ্দিন কুমিল্লা লাকসাম উপজেলার বাকুই গ্রামের মৃ ত মোহাম্মদ আজাদের ছেলে ফখরুদ্দিন।
পুলিশের হাতে আ’টক হওয়ার পর বের হয়ে আসে ফখরুদ্দিনের ভ য়ংকর সব প্র তারণা। প্র তারক ফকরুদ্দিন ১৯৯১ সালে আউট সাইট ক্যাডেট (সাব-ইন্সপে ক্টর) পদে চাকুরী করা কালে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা ঘু ষ গ্রহ ণের দায়ে চাকুরী চলে যায়। তারপর থেকে শুরু হয় প্র তারণা। মাঝে ২০০০ সালে ডিবি পরিচয়ে ছিন তাইকালে ডিএমপি ডিবির হাতে আ টক হয় ফকরুদ্দিন। জে ল থেকে বেরিয়ে এসে আবারো শুরু হয় প্রতা রণা।
পুলিশের হাতে আ টক হওয়ার পর ফখরুদ্দিনের কাছ থেকে পুলিশের স্টি কারযুক্ত গাড়ী, উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের র্যাক ব্যাজ পরিহিত ছবিসহ কর্মকর্তাদের নামে তৈরিকৃত অফিসিয়াল পত্রাদি ও প্রতারণার নমুনা সম্বলিত ডকুমেন্টস। এগুলো প্র তারণার জন্য ব্যবহার করতো ফখরুদ্দিন।
আজ মঙ্গলবার কুমিল্লা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে পুলিশ সুপার মো:সৈয়দ নুরুল ইসলাম বলেন, এক মাস আগে অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক সাইদুল ইসলাম একটি অভিযোগ করেন । তার ছেলেকে পুলিশের চাকুরী দেযার কথা বলে ফখরুদ্দিন ১১ লাখ টাকা হা তিয়ে নেয়। তারপর কুমিল্লা জেলা পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে প্রতা রক ফখরুদ্দিনকে ঢাকার খিলগাও থেকে আ টক করে। আ টক হওয়ার পর আরো অন্তত ১০/১২ জন পুলিশ কার্যালয়ে এসেছেন ফখরুদ্দিনের বিষয়ে অভি যোগ নিয়ে।
যার মধ্যে ব্যাং কার রেজা। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত রেজা জানান, তার নতুন কেনা প্রাইভেট কার টি প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নেয় ফখরুদ্দিন। পরে প্রাইভেটকারটি ফেরত চাইলে সংবাদ সম্মেলনে আরেক অভিযোগকারী আনোয়ার জানান, দোকান দেয়ার নাম করে ২ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় ফখরুদ্দিন। এছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত আরেকজন জানান , লোন নিয়ে ৪০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন ফখরুদ্দিন। এমন অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে ফখরুদ্দিনের বিরুদ্ধে।
সংবাদ সম্মেলনে কুমিল্লা পুলিশ সুপার মো: সৈয়দ নুরুল ইসলাম বলেন, আমরা চাই প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে ফখরুদ্দিনের বিষয়টি সাধারণ মানুষের সামনে নিয়ে আসতে।
এতে করে প্রতারক ফখরুদ্দিনের প্র তার ণার হাত থেকে সাধা রণ মানুষ বেঁ চে যাবে। সংবাদ সম্মেরনে উপস্থিত ছিলেন পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মো: আব্দুল্লাহ্ আল মামুন, মোহাম্মদ শাখাওয়াৎ হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আজিম উল আহসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) তানভীর সালেহীন ইমনসহ জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
Leave a Reply