(মোঃ জুয়েল রানা, তিতাস)
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস প্রতিরোধে কুমিল্লার তিতাস উপজেলার বাতাকান্দি ও তার আশপাশের গ্রাহকদের মাঝে করোনা সম্পর্কে সচেতনা সৃষ্টি করতে রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংক বাতাকান্দি শাখায় নিয়েছে অনুকরণীয় উদ্যোগ। যা দেখে অন্যান্য ব্যাংকগুলো সে মতে তাদের সতেচনতামূলক কর্মপরিকল্পনা তৈরি করছে।
সরজমিনে ব্যাংকটির শাখায় গিয়ে দেখা গেছে, প্রথমত তারা গ্রাহকের পোষাকে জীবাণুনাশক স্প্রে করছে। অতঃপর ইনফ্রারেড থার্মোমিটারের মাধ্যমে গ্রাহকের তাপমাত্রা দেখে নিচ্ছে এবং প্রবেশকালীন সময়ে হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে দুই হাত জীবাণুমুক্ত করে শাখায় প্রবেশ করাচ্ছে। শাখার ভিতরে প্রবেশ করে দেখা যায়, প্রত্যেক কর্মকর্তা কর্মচারী সাদা এ্যাপ্রোন,হ্যান্ড গ্লাভস, মাকস পরে নির্দিধায় সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
এবিষয়ে কয়েকজন গ্রাহকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এই পদক্ষেপের কারনে তারা এই শাখায় নিশ্চিন্তে সেবা নিতে পারছে। পাশাপাশি তারা সচেতনও হচ্ছে।তাপসী রাবেয়া নামের এক গ্রাহক জানালো, ব্যাংকে আসার আগে সে এই করোনা ভাইরাসকে অতটা গুরুত্ব দেয়নী। এখন সে এব্যাপারে খুব সচেতন এবং অন্যদেরকেও সচেতন করছে।
শাখার ক্যাশ কর্মকর্তা আজাদ হোসেন বলেন, এই সময়ে ক্যাশে কাজ করাটা খুবই রিস্ক। কিন্তু তার ম্যানেজারের সময়োপযোগী পদক্ষেপের কারনে তারা কিছুটা হলেও স্বস্তিতে আছে।
অন্যদিকে শাখার ব্যবস্থাপক জনাব জসীম উদ্দীন বলেন, বর্তমানে বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাস একটি আতংকের নাম। বহুদেশ প্রাথমিকভাবে খামখেয়ালী করে এখন ভয়াবহ অবস্থার মধ্যে আছে। তাদের কাছ থেকে আমাদের শিক্ষা নেয়া উচত। গ্রাম-গঞ্জে কেউ সতেচন হচ্ছে না। সদ্য বিদেশ ফেরত অজস্র লোক হোম কোয়ারেন্টাইনে না থেকে হাটে- বাজরে ঘুরছে,ব্যাংকে আসছে। এমন অবস্থায় কঠোর পদক্ষেপ না নিলে সবাই আমরা বিপদের মুখে পড়বো। তাছাড়া সরকারী ব্যাংকার হিসেবে যত দুর্যোগই হোক জনগণকে ব্যাংকিং সেবাটা দিয়ে যেতে হবে।
আমরাতো ডাক্তার না যে, কে সুস্থ্য আর কে অসুস্থ্য তা বিচার করে তাকে সেবা দিব। সুতরাং আমাদের নিজেদের সেইফটির কথাটিও মাথায় রাখতে হবে। আর সে কথা চিন্তা করে নিজ উদ্যোগে কর্মকর্তাদের জন্য এ্যাপ্রোণ , হ্যান্ড গ্লাভস, হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা করেছি। আশা করি আমার এ শাখার উদ্যোগ দেখে অন্যান্যরা সচেতন হবে।
Leave a Reply