অনলাইন ডেস্ক:
করোনা সং ক্রমণ প্রতিরোধে কুমিল্লার বিভিন্ন গ্রামে বাঁশের বেড়া দিয়ে গ্রামে প্রবেশের মূল সড়কে ব্যারিকেড সৃষ্ট করা হয়েছে। এই ব্যারিকেডের উদ্দেশ্য গ্রামে নতুন কারো আগমন যেন না ঘটে। পাশাপাশি যানবাহনের চলাচলও বন্ধ। এছাড়াও অপ্রয়োজনে সাধারণ মানুষ যেন ঘুরাঘুরি না করতে পারে।
সরেজমিনে কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার আমড়াতলী ইউনিয়নের মহেশপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায় গ্রামে প্রবেশের মূল সড়কে বাঁশ ও সিমেন্টের তৈরি পিলার দিয়ে গ্রামের রাস্তায় যাতায়াতের পথে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হয়েছে। পরে ওই বাঁশের বেড়ায় কাগজের সাইনবোর্ড টানিয়ে দেয়া হয়। টাইনবোর্ডে লেখা ‘লকডাউন’।
গ্রামের যুবক আরিফ, পলাশ ও জুয়েল জানান, করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে এ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। এতে গ্রামের মানুষের অবাধ চলাচল বন্ধ হবে। এছাড়াও যান চলাচল বন্ধ হবে। আমরা সচেতন হলেই করোনা ভাইরাস সংক্রমণ সম্ভব।
এদিকে লকডাউনের বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় আমড়াতলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাজী মোজাম্মেল হক জানান, আমরা করেনা থেকে মুক্ত থাকতে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। অনেকেই সচেতন হচ্ছে।
এদিকে জেলার নাঙ্গলকোটের বান্নাগর, ছুপুয়া দাসনাইপাড়া ও কুকুরীখিল স্থানীয়রা গ্রামে প্রবেশের মূল সড়কে বাঁশের বেড়া দিয়েছে। তারা জানায় গ্রামবাসী সবাই মিলে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এলাকার তরুণ যুবকরা মিলে গ্রামে প্রবেশের মূল সড়কে বেরিকেড দিয়েছে। যাতে করে গ্রামে অবাধ চলাচল বন্ধ হয়। আর তাদের বিশ্বাস এভাবেই করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ সম্ভব।
সচেতন নাগরিক কমিটি কুমিল্লার সভাপতি বদরুল হুদা জেনু বলেন,সবার ব্যক্তিগত ভাবে সচেতনতার বিকল্প নেই। সামাজিক দূরত্ব এখন সময়ের দাবি।
গ্রামে গ্রামে লকডাউনের বিষয়টি কতটুকু যুক্তিযুক্ত সাংবাদিকদের এমন এক প্রশ্নের উত্তরে পুলিশ সুপার মো: নুরুল ইসলাম বলেন, এ মুহূর্তে জরুরি কাজ ছাড়া গ্রামের বাইরে বের হওয়ার দরকার নাই। যারা বেড়া দিয়ে লকডাউন করছে বলা যায় ভালোই করছে। তবে সবার উচিৎ লকডাউনকৃত সময়ে জরুরী প্রয়োজনে যেন বাহন যেতে পারে।
Leave a Reply