(মাসুদ আলম, কুমিল্লা)
কুমিল্লা মহানগরীর টমছম ব্রিজ থেকে নন্দনপুর বিশ্বরোড সড়কে বেহাল দশা বিরাজ করছে। ইট-পাথর, সুরকি উঠে সড়কটির পুরো অংশে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। পথচারী ও যাত্রীদের যাতায়াতে ভোগান্তির সাথে ঝুঁকি নিয়ে গণপরিবহন চলাচলে বেড়েছে দুর্ঘটনা।
ভোগান্তিতে পড়া মানুষের প্রশ্ন সড়কটির কবে হবে সংস্কার? বেহাল এই সড়কের টমছম ব্রিজ দৈনিক বাজার অংশের আধা কিলোমিটার জায়গা চলাচলে অযোগ্য হয়ে পড়েছে। বড় বড় গর্তে আর খানাখন্দে পানি জমে পুকুর-জলাশয়ে রূপ নিয়েছে। কাদা-পানির দুর্গন্ধে বাজার করতে আসা মানুষজন প্রতিদিন ভোগান্তিতে পড়ছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, চাঁপাপুর থেকে টমছম ব্রিজ হয়ে কোটবাড়ি সড়কটি যাতায়াতাতের জন্য কুমিল্লা শহরের গুরুত্বপূর্ণ একটি মাধ্যম। দীর্ঘদিনের ভোগান্তির পর গত কয়েকদিন পূর্বে চাঁপাপুর থেকে টমছম ব্রিজের পূর্ব অংশটি সংস্কার শেষ হয়।
সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, কুমিল্লা নগরীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকা টমছম ব্রিজ হতে কোটবাড়ি পর্যন্ত প্রায় আট কিলোমিটার সড়ক। আট কিলোমিটারের এ সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে বিভিন্ন স্থানের ইট-সুরকি উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় যানবাহনসহ জনগণের স্বাভাবিক চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। তবে সংস্কারের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়েছে টমছম ব্রিজ থেকে নন্দনপুর বিশ্বরোড পর্যন্ত সড়কটি।
কুমিল্লা-কোটবাড়ি সড়ক দিয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, পল্লী উন্নয়ন একাডেমি, কুমিল্লা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট, টিচার্স ট্রেনিং ইন্সটিটিউট, সিসিএন বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা সেনানিবাস, বিজিবি সেক্টর হেডকোয়ার্টার, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া ডিগ্রি কলেজ, র্যাব কার্যালয়, কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড মডেল কলেজ, সার্ভে ইন্সটিটিউট, পানি উন্নয়ন বোর্ড, আনসার-ভিডিপি আঞ্চলিক কার্যালয়, প্রাণিসম্পদ কার্যালয় এবং অনেক সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়াও শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ শহর ও জেলার পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকার মানুষ যাতায়াত করতে হয়। এছাড়া ময়নামতি জাদুঘর, শালবন বিহারসহ কোটবাড়িস্থ বিভিন্ন পর্যটন স্থাপনায় দূর-দূরান্তের পর্যটকদের আসা-যাওয়ার ক্ষেত্রেও সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. মাহাবুব কবির জানান, প্রায় ৩-৪ বছর যাবত টুকিটাকি সংস্কারের মধ্যে সড়কটি চলছে। স্থায়ীভাবে কোন উন্নয়ন কাজ হচ্ছে না সড়কটিতে। বর্তমানে সড়কটির যে বেহাল দশা, যাতায়াত না করলে বুঝানো যাবে না। কুমিল্লা সিএনজি চালিত অটোরিকাশা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আলম জানান, সড়কটি দিয়ে গাড়ি যাতায়াতে যাত্রী ও চালক চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। সড়কে প্রায় নষ্ট হচ্ছে গাড়ি। যার কারণে মাঝ পথে যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়ে থাকেন। আমাদের দাবি সড়কটি যেত দ্রুত সংস্কার হয়। এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী ড. মো. আহাদ উল্লাহ বলেন, চাঁপাপুর থেকে টমছম ব্রিজ পর্যন্ত সড়কটি সংস্কার হয়েছে। বাকী টমছম ব্রিজ বাজার থেকে আলেখচর বিশ্বরোড পর্যন্ত সড়কটি সংস্কারে খুব প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। ঠিকাদারদের বলেছি যত দ্রুত সম্ভব সড়কটি সংস্কার করার জন্য।
Leave a Reply