মারুফ আবদুল্লাহ:
মৃত্যুদণ্ড সাজা শুনে পালানোর সময় দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। রবিবার (১২ মে) দুপুরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের যুবলীগ নেতা জামাল উদ্দিন হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। এ সময় ৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৯ জনকে মৃত্যুদণ্ডসহ ৫০ হাজার করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
রায় ঘোষণার পরদিন সোমবার (১৩ মে) ভোররাতে কুমিল্লা থেকে পালানোর সময় পরোয়ানাভুক্ত দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। র্যাব-১১-এর উপপরিচালক মাহমুদুল হাসান এসব তথ্য জানিয়েছেন।তারা হলেন চৌদ্দগ্রামের শিলরী গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে খন্দকার মফিজুর রহমান (৫২) ও আলকরা গ্রামের নজির আহম্মদের ছেলে রেজাউল করিম বাবলু (৪২)।
র্যাব-১১-এর উপপরিচালক মাহমুদুল হাসান জানান, গত ২০১৬ সালের ৮ জানুয়ারি রাতে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে যুবলীগ নেতা জামাল উদ্দিনকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিহত জামালের বড় বোন বাদী হয়ে চৌদ্দগ্রাম থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, তৎকালীন ইউপি চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেন বাচ্চু নির্বাচিত হয়ে সাধারণ জনগণের ওপর অত্যাচার, অপকর্ম, চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড শুরু করেন। এসব ব্যাপারে জামাল উদ্দিন তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে জামালের সঙ্গে প্রধান আসামি ইসমাইল হোসেন বাচ্চুর শত্রুতা সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে আসামিরা ২-৩ বার তাকে হত্যার চেষ্টা করেন। পরে পূর্বপরিকল্পিতভাবে আলকরা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি জামাল উদ্দিনকে ডেকে নিয়ে চৌদ্দগ্রাম পদুয়ার রাস্তার মাথায় প্রথমে গুলি করে এবং পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে জবাই করে হত্যা করা হয়।
এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ২০১৬ সালে ১৮ এপ্রিল প্রধান আসামি ইসমাইল হোসেন বাচ্চুসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরে সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত প্রধান আসামিসহ ৯ জনের মৃত্যুদণ্ড ও প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন। এ ছাড়া ৯ জনকে দেওয়া হয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। রায়ে খালাস পান ৫ জন।
রায়ের সময় আদালত কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আলী হোসেন। তাকে গত ২৯ মার্চ গ্রেফতার করে র্যাব। সাজা ঘোষণার পর সোমবার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। গ্রেফতার আসামিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
Leave a Reply