অনলাইন ডেস্ক:
কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার বিএনপি দুই গ্রুপের সংঘর্ষে হেসাখাল ইউনিয়নের সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সেলিম আহমেদকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
শনিবার (২১ ফ্রেরুয়ারি) সাড়ে ৩টায় জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলার বাঙ্গড্ডা পূর্ব পুরো মাথায় বটগাছ স্থল নামক স্থানে এ ঘটনায় ঘটে।
জানা যায়, নাঙ্গলকোট উপজেলার রায়কোট দক্ষিণ ইউনিয়ন বিএনপি নেতা বাসন্ডা গ্রামের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ইউসুফ নবীর বাড়িতে দাওয়াত খাওয়ার পর পেরিয়া ইউনিয়নে সাবেক সংসদ আলহাজ্ব আব্দুল গফুর ভুঁইয়ার কাকৈইতলায় মতবিনিময় সভায় যাওয়ার পথে বাঙ্গড্ড বাজারে অতর্কিত পিটিয়ে আহত করা হয়। পরে আহত অবস্থায় নাঙ্গলকোট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্মরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এই ঘটনা কেন্দ্রকে ঘিরে নাঙ্গলকোট দু-গ্রুপের উত্তেজনা বিরাজ করছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
এদিকে বিএনপির সাবেক সংসদ আলহাজ্ব আব্দুল গফুর ভুঁইয়ার অনুসারীরা অভিযোগ করেন, মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়ার কর্মীরা সেলিমের ওপর হামলা চালায়। আমরা তার বিচার চাই।
সাবেক সংসদ আলহাজ্ব আব্দুল গফুর ভুঁইয়ার বলেন, সে (নিহত সেলিম) হেশাখাল ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ছিলো। ঘটনাস্থলে আমি ছিলাম না, তবে শুনেছি মোবাশ্বেরের লোকেরা, যুবদলের সভাপতি মনির, সাধারণ সম্পাদক টিপু, লিটনসহ আরো কয়েকজন ছিলো সেখানে।
তাদের সঙ্গে জনগণের কোনো সম্পর্ক নাই। তারা কাগজ-কলমে নেতা হইছে। তারা যেখানে যায় আওয়ামী লীগ ছাত্রলীগের গুন্ডাবাহিনীদের সঙ্গে রাখে। তারা সব সময় স্বশস্ত্র অবস্থায় থাকে। আমরা ন্যায় বিচারের জন্য ব্যবস্থা নেব।
এ বিষয় জানতে বিএনপি নেতা মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়ার একাধিকবার কল দিয়ে পাওয়া যায়নি।
নাঙ্গলকোট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), এ কে ফজলুল হক জানান, বিএনপির দুই গ্রুপের মারামারিতে একজন নিহত হয়েছে। তার মরদেহ ময়নাতদন্ত জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে নেওয়া হয়েছে। এখনো পর্যন্ত কেউ মামলা করতে আসেনি।
Leave a Reply