অনলাইন ডেস্ক:
সারা দেশের প্রবাসীদের শতকরা প্রায় ১২ শতাংশ কুমিল্লা অঞ্চলের বাসিন্দা। প্রবাসী বেশি হওয়ায় এই এলাকায় বিদেশ থেকে আসা যাওয়া করা মানুষের সংখ্যাও বেশি। তাই এই অঞ্চলের মানুষকে করোনার সংক্রমন নিয়ে বেশি সতর্ক থাকতে হবে বলে মনে করেন স্বাস্থ্য বিভাগ।
কুমিল্লা অঞ্চলের অধিকাংশ প্রবাসীই মধ্যপ্রাচ্যের সৌদি আরব, কাতার, দুবাই, কুয়েতসহ বিভিন্ন দেশে থাকেন। এছাড়াও ইউরোপের ইটালী, ফ্রান্স, জার্মানি এবং এশিয়ার সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, জাপানসহ বিভিন্ন দেশে থাকেন। এছাড়া থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া ও হংকংয়েও এই জেলার মানুষের যাতায়াত বেশি। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের প্রায় ৬০ টি দেশে করোনার সংক্রমন ধরা পড়েছে।
এর মধ্যে আমাদের পার্শ্ববর্তীদেশ ভারতেও আক্রান্ত রোগীর তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। যে কারনে কুমিল্লা অঞ্চলের মানুষকে করোনা নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে বেশি। ইতিমধ্যে কুমিল্লার বিবির বাজার স্থল বন্দরে যাত্রীদের করোনা ভাইরাস পর্যবেক্ষনের জন্য একটি হেল্প ডেস্ক বসানো হয়েছে। একজন মেডিকেল অফিসারসহ ৩ জনের একটি দল এই বন্দর দিয়ে ভারত থেকে আসা যাত্রীদের পরীক্ষা নিরীক্ষা করিা হচ্ছে। যদিও এখন পর্যন্ত এরক কোন রোগী পাওয়া যায়নি।
এদিকে করোনার সম্ভাব্য ঝুঁকি পর্যালোচনা করে মঙ্গলবার কুমিল্লার জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে মাল্টি সেক্টরাল সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় জেলা প্রশাসক মোঃ আবুল ফজল মীর বলেছেন, আতংকিত না হয়ে, করোনা নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে। সচেতন থাকতে হবে। শতভাগ পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করতে হবে। যেহেতু কুমিল্লায় প্রবাসী বেশি তাই আমাদের সতর্কতাও বেশি থাকতে হবে।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. নিয়াতুজ্জামান জানান, ইতিমধ্যে কুমিল্লায় কোয়ারেন্টাইন জোন ও আইসোলেশন জোন গঠন করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। প্রতিটি উপজেলায় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ১১ সদস্য বিশিষ্ট একটি জেলা কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং প্রতিটি উপজেলায় কমিটি গঠন করার মাধ্যমে করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি এড়াতে বিভিন্ন সচেতনতামূলক কর্মপন্থা হাতে নেয়া হয়েছে।- সূত্র: কুমিল্লার কাগজ
Leave a Reply