রবিউল হোসেন।।
কুমিল্লায় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে হ্যান্ড স্যানিটাইজার প্রস্তুত করে বিনামূল্যে বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের রসায়ন বিভাগ। রসায়ন বিভাগ কর্তৃক প্রস্তুত এ হ্যান্ড স্যানিটাইজারের নাম দেওয়া হয়েছে ‘কেমসল’।
শনিবার(২১মার্চ) সকালে কলেজ ক্যাম্পাসের বঙ্গবন্ধু মূর্যালের সামনে কর্মচারীদের মাঝে হ্যান্ড স্যানিটাইজার তুলে দিয়ে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মো.রুহুল আমিন ভূঁইয়া। প্রাথমিকভাবে ১২৫০ বোতল হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি করেছে তারা।
পরে করোনা ভাইরাসের বেশি ঝুঁকিতে থাকা স্বাস্থ্য কর্মী, গণমাধ্যম কর্মী, পরিবহন শ্রমিক, তাঁরা আদর্শ সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কার্যলয়, সেলুন কর্মী, দোকানদার, দিনমজুর, হকার সহ কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে তা বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়।
এসময় কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এড.মো.আমিনুল ইসলাম টুটুল, কলেজ উপাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো.আবু জাফর খান, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর বিজয় কৃষ্ণ রায়, রসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড.মো.আবদুল কুদ্দুসসহ রসায়ন বিভাগের শিক্ষক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরির কাজে নিয়োজিত শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। পরবর্তীতে রবিবার শাসনগাছা বাস স্ট্যান্ডের পরিবহন শ্রমিক ও জেলা সদরের বিভিন্ন এলাকায় ঝুকিঁপূর্ণ মানুষের মাঝে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ করা হবে জানান উদ্যেক্তরা।
এ উদ্যেগের বিষয়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো.রুহুল আমিন ভূঁইয়া বলেন, বাজারে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের স্বল্পতা এবং মূল্যবৃদ্ধি পাওয়ায় বিনামূল্যে হ্যান্ড সেনিটাইজার বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ১ লাখ টাকা অনুদানের মাধ্যমে এ কার্যক্রম শুরু করেছি। প্রাথমিকভাবে ৫০০ বোতল হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়। পরবর্তীতে ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কথা চিন্তা করে এর পরিমাণ বাড়ানো হয়। এখন পর্যন্ত ১ হাজার ২৫০ বোতল প্রস্তুত করা হয়েছে। আমরা আশা করি আমাদের কার্যক্রমে উৎসাহিত হয়ে বৃত্তবানরা দেশের এই সংকট মুহূর্তে এগিয়ে আসবে।
এ উদ্যোগের নেতৃত্ব দিচ্ছেন রসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড.মো.আবদুল কুদ্দুস। তিনি বলেন, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার নিয়ম অনুসরণ করে আমরা হ্যান্ড স্যানিটাইজার ( এন্টিসেপটিক লোশন) তৈরি করেছি। এ হ্যান্ড স্যানিটাইজার রয়েছে ৬৫ ভাগ আইসো প্রোপাইল এলকোহল,পাতিত পানি ৩২ ভাগ,গিøসারিন ২ ভাগ ,অলিভয়েল ০.৫ ভাগ এবং হাইড্রোজোন পার অক্সাইড ০.৫ ভাগ। গত ৪ দিনে আমাদের রসায়ন বিভাগের ২০ শিক্ষক-শিক্ষার্থী মিলে ১ হাজার বোতলের টার্গেট নিয়ে ১২৫০ বোতল উৎপাদন করেছি। এখন কেমিক্যাল সংকটের কারণে আটকে গেছি। ঢাকা থেকে ক্যামিক্যাল সংগ্রহের চেষ্টা চলছে। ক্যামিক্যাল পেলে বিনা মূল্যে বিতরণের জন্য ব্যাপকভাবে হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরির দরকার হলে আমাদের রসায়ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা প্রস্তুত আছে।
Leave a Reply