(মোঃ ফখরুল ইসলাম সাগর, দেবিদ্বার)
বৈশ্বিক মহামারি করোনার প্রভাবে শিক্ষামন্ত্রনলায়ের নির্দেশনা অনুযায়ী সারাদেশের স্কুল ও কলেজ বন্ধ থাকলেও কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার মোহনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কাজী আলমগীর হোসেন শিক্ষামন্ত্রনলায়ের নির্দেশনাকে বৃদ্ধা আঙ্গুলী দেখিয়ে এবং স্বাস্থ্যবিধি, সামাজিক দুরত্ব না মেনেই অর্থের লোভে প্রশাসন ও সংবাদকর্মীদের ফাঁকি দিয়ে কিছু সংখ্যক শিক্ষকদের দিয়ে কচিং বানিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন।
কুমিল্লার মধ্যে সব থেকে বেশি ঝুঁকিতে দেবিদ্বারে। ৪২ জন আক্রান্ত রোগী রয়েছে। তার মধ্যে মারা গিয়েছে ৭ জন। ইতিমধ্যে ঘোষণা করা হয়েছে হটস্পট।
এই ঘটনার সংবাদ পেয়ে গতকাল সোমবার সরেজমিন স্কুলে গিয়ে দেখাযায় স্কুলের ক্লাস রুমে শিক্ষার্থীরা বই খাতা নিয়ে শিক্ষকের অপেক্ষায় বসে আছে। ক্যামেরা দেখে প্রধান শিক্ষকের ইসারায় ছাত্র ছাত্রীরা ক্লাশ থেকে বেড় হয়ে যায়, এবং কেউ কথা বলতে রাজি হয়নি। পরে উক্ত প্রতিবেদক স্কুল থেকে চলে আসলে আবার কোচিং চালু করেন বলে অত্র বিদ্যালয়ের খন্ডকালীন শিক্ষক বিষয়টি মোবাইল ফোনে নিশ্চিত করেন।
অত্র বিদ্যালয়ের খন্ডকালীন শিক্ষক মাধব কুন্ডদাস জানান, প্রধান শিক্ষক কাজী আলমগীর হোসেন স্যারের নির্দেশে আমি আমার চাকুরী বাচাঁতে স্কুলে ক্লাশ নিয়েছে। স্যার আমাকে বলেছেন দেবিদ্বার শিক্ষা অফিস থেকে কোচিং করার অনুমতি নিয়েছি কোন সমস্যা হবেনা তুমি ক্লাশ করাও।
নাম প্রকাশে অন ইচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষার্থী জানায় তাদের নিকট থেকে রেজিষ্ট্রেশন ফি বাবাদ ৩০০ টাকা মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে আদায় করা এখন কোচিং এর নামে আরোও ২০০ টাকা ফ্রি নিয়ে কোচিং বানিজ্য শুরু করেন।
এ বিষয়ে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হাজী ময়নাল হোসেনের নিকট জানতে চাইলে, তিনি বলেন স্কুলে রেজিষ্টেশনের জন্য শিক্ষার্থীদের ডাকা হয়েছে তবে কোচিংক্লাশের বিষয়ে আমি অবগত নই।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কাজী আলমগীর হোসেন জানান, বিদ্যালয়ে কোন কোচিং ক্লাশ করানো হয়নি, শুধু রেজিষ্টেশনের জন্য ছাত্র ছাত্রীদের স্কুলে ডাকা হয়েছিল।
দেবিদ্বার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এ.কে এম আলী জিন্নাহ জানান, মোহনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কাজী আলমগীর হোসেন নির্দেশনায় স্কুলে কোচিং করানোর বিষয়টি শুনেছি তবে সহকারী মাধ্যমিক কর্মকর্তাকে তদন্ত করার জন্য নির্দেশ দিয়েছি, তার রির্পোট পেলেই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply