(অনলাইন ডেক্স): মঙ্গলবার শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বিলটি প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। এর আগে বিলটির ওপর জনমত যাচাই ও সংশোধনী প্রস্তাব কণ্ঠভোটে নাকচ হয়।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে শিল্পমন্ত্রী বলেন, এই আইনের মাধ্যমে বাংলাদেশের উৎপাদিত পণ্যের দেশি ও বিদেশি বাজারে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার লক্ষ্যে বিশ্বব্যাপী সামগ্রিকভাবে গ্রহণযোগ্য করে তোলা যাবে। বাংলাদেশি পণ্য ও সেবার জন্য আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রত্যয়নপত্র পাওয়া সহজ হবে।
১৯৮২ সালের ‘স্ট্যান্ডার্ড অব ওয়েট অ্যান্ড মেজার্স অর্ডিন্যান্স’ সংশোধন ও পরিমার্জন করে সময়ের চাহিদার আলোকে বাংলা ভাষায় নতুন বিলটি প্রস্তাব করা হয়।
গত ১২ সেপেম্বর বিলটি সংসদে উত্থাপন করা হয়।
আইন লঙ্ঘনে আর্থিক শাস্তির পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে এ বিলে। এর মধ্যে মানদণ্ডহীন বাটখারা বা পরিমাপক ব্যবহারের শাস্তি অনূর্ধ্ব একবছরের কারাদণ্ডের সঙ্গে অর্থদণ্ড বাড়িয়ে এক লাখ টাকা করা হয়েছে।
কোনো ব্যক্তি যদি ওজন বা পরিমাপ সম্পর্কিত মডেল অনুমোদনের সনদ ছাড়া তা বিক্রি, বিতরণ, সরবরাহের জন্য তৈরি করেন তাহলে অনূর্ধ্ব দুই বছরের কারাদণ্ড বা এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
লাইসেন্স ছাড়া ওজন বা পরিমাপ যন্ত্র বিক্রি করলে, উৎপাদন করলে অনূর্ধ্ব এক বছরের কারাদণ্ড বা এক লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
বিলে বলা হয়েছে, কেউ অনুমোদন বহির্ভূত বস্তু দ্বারা ওজন বা পরিমাপ তৈরি বা উৎপাদন করলে এক লাখ টাকা বা তিন বছরের কারাদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
মানদণ্ড ছাড়া, অন্য কোনও ওজন বা পরিমাপ ব্যবহার করলে ছয় মাসের কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
Leave a Reply