অনলাইন ডেস্ক:
রাজধানীর চকবাজার এলাকায় কেমিক্যাল গোডাউনে আগুন লেগে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৭৬ জনে দাঁড়িয়েছে। এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। পুড়ে যাওয়া লাশগুলো শনাক্ত করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
সময় যতই যাচ্ছে, বাড়ছে লাশের সংখ্যাও। ভয়াবহ আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পরেই চলছে লাশের সন্ধান। একের পর এক ব্যাগ ভর্তি করে লাভ বের করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ব্যাগ ভর্তি করে ৭০টি মরদেহ বের করা হয়েছে। নিহতদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ভবনের ভেতরে আরও লাশ আছে।
পুরান ঢাকার চকবাজার এলাকার নন্দকুমার দত্ত সড়কের চুড়িহাট্টা শাহী মসজিদের পেছনের ওই ভবনে বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ১০টা ১০ মিনিটে আগুন লাগে। রাত সাড়ে ৩টার দিকে আগুনের ভয়াবহতা কিছুটা কমলেও এখনও বিভিন্ন জয়গায় আগুন জ্বলছে। নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।এখন পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিট।
ভবনটির ছাদেও আগুন জ্বলতে দেখা যাচ্ছে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা স্ট্রেচারে করে ব্যাগ ভর্তি করে একের পর এক লাশ বের করে নিয়ে আসছেন। অর্ধশতাধিক ঢাকা মেডিকেল বার্ন ইউনিটে ভর্তি। কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কা জনক। প্রাথমিক ধারণা গাড়ির সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকে আগুনের সুত্রপাত।
এরই মধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন মেয়র সাঈদ খোকন ও ঢাকা-৭ আসনের সংসদ বলেন, ফায়ার সার্ভিসের শতাধিক কর্মীসহ অনেকেই এখানে কাজ করছেন। নগরবাসী, দেশবাসী সবার দোয়া চাচ্ছি, যাতে করে সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা আমরা নিশ্চিত করতে পারি।
এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, এই মুহূর্তে আমাদের লক্ষ্য হলো আগুন নিয়ন্তণে নিয়ে আসা। যারা আহত হয়েছেন তাদের যথাযথ চিকিৎসা দেয়া। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর আমরা ঘটনার তদন্ত করব। কেন, কিভাবে আগুন লেগেছে সে সম্পর্কে জানাতে পারব।
এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনালের আলী আহাম্মেদ খান বলেন, আগুন লাগার পর থেকেই পর্যায়ক্রমে ফায়ার সার্ভিসের অন্তত ৩৭টি ইউনিটের দুইশতাধিক ফায়ার ফাইটার্স কাজ করছে। এই জায়গাটা আসলে সংকীর্ণ আমাদের পানির সংকট হয়েছিল। এখানে বিভিন্ন ধরণের ক্যামিকেল আছে। আমরা দ্রুত আগুন নেভানোর চেষ্টা করছি।
ভয়াবহ আগুনের সূত্রপাত নিয়ে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক বলেন, গাড়ির সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকে আগুনের সূত্রপাত।
Leave a Reply