অনলাইন ডেস্ক:
কুমিল্লা জেলার তিতাস উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও তিতাস উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী, বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান শাহিনুল ইসলাম সোহেল সিকদারকে গতকাল রবিবার রাত দুইটায় তার যাত্রাবাড়ির বাসভবন থেকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ।
চারটি হত্যা মামলাসহ আট মামলার আসামী সোহেলকে রাতেই কুমিল্লায় নিয়ে আসে ডিবি সদস্যরা। বর্তমানে ডিবি অফিসে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে তিতাস থানার ওসি সৈয়দ আহসানুল ইসলাম জানিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্র বলছে — তিতাসের জিয়ারকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান মনির হোসেন গত আড়াই বছর আগে খুন হন। ওইদিন মনির চেয়ারম্যানের সাথে খুন হন মহিউদ্দিন। ঘটনার দিনই তিতাস থানায় প্রধান আসামী করে সোহেল সিকদারসহ ১৩ জনের নামে করে মামলা করেন নিহত মনির চেয়ারম্যানের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার।
মামলা থেকে থানা পুলিশ সোহেল সিকদারকে অব্যাহতি দিয়ে চার্জশিট দিলে আদালত স্বপ্রনোদিত হয়ে মামলাটি পুনরায় পিবিআই কে তদন্তের নির্দেশ দেন। পিবিআইয়ের তদন্তে দেখা যায় সোহেল সিকদারের প্রত্যক্ষ নির্দেশ মনির চেয়ারম্যানকে খুন করা হয়।
হত্যায় জড়িত বাকিরা সোহেলের সহযোগী। সোহেলকে মুল আসামী করে গত বছর চার্জশিট দেয়ার পর গ্রেফতার পরোয়ানা জারি করে কুমিল্লার আদালত।
পরে হাইকোর্ট থেকে চার সপ্তাহের জামিন নেন সোহেল। কিন্তু আপিলে তার জামিন স্থগিত হয়ে যায়। এরপর থেকে গ্রেফতারি পরোয়ানা নিয়ে উপজেলা নির্বাচনের কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছিলেন সোহেল সিকদার। গত ৩১ তারিখ অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে পুরো উপজেলার নির্বাচন স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন।
এদিকে শাহিনুল ইসলাম সোহেল শিকদারের বাবা তিতাস উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের কমান্ডার ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন নিজাম শিকদার সাংবাদিকদের জানান, তাঁর ছেলেকে ঢাকার যাত্রা বাড়ী এলাকা থেকে ডিবি পুলিশ আটক করে কুমিল্লা ডিবি কার্যালয়ে রাখা হয়েছে।
দেখুন রিপোর্টি:
Leave a Reply