(বারী উদ্দিন আহমেদ বাবর. কুমিল্লা)
একটি জাতি গঠনে শিক্ষকদের ভূমিকা অপরিসীম। আর শিক্ষকতা হচ্ছে একটি মহান পেশা। শিক্ষকেরা হচ্ছে মানুষ গড়ার কারিগর। শিক্ষকতা হচ্ছে পৃথিবীর প্রাচীন পেশাগুলোর একটি। ন্যায় বিচার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে গেলে শিক্ষকদের ভূমিকা অনন্য। ন্যায় বিচার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজন সৎ মানুষ, শিক্ষিত মানুষ ও জ্ঞানী মানুষের। সোনার বাংলা বিনির্মান সময়ের দাবী, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন। শিক্ষক মন্ডলী যারা আগামীর জন্য মানুষ সৃষ্টি করেন তাদের দায়িত্ব অনেক বেশী। একজন শিক্ষকই পারেন একজন সুন্দর ও জ্ঞানী মানুষ তৈরী করতে।
মানুষ যদি জ্ঞানী না হয় এবং জ্ঞান সমৃদ্ধ না হয় তাহলে সমাজের কোন কাজে আসতে পারে না। সমাজের ভাল কাজ করার জন্য শিক্ষকদের প্রয়োজন। জাতির ভবিষ্যত শিক্ষার্থীকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে আর সেটা করবে একজন শিক্ষক। সমাজে বিশৃংখল পরিবেশ ও অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে সেটা রোধ করাও শিক্ষকদের দায়িত্ব। কেনানা শিক্ষকরাই শিক্ষার্থীদের ন্যায়-অন্যায়, সৎপথ, সঠিকপথের নির্দেশনা প্রদান করবে।
সত্য-অসত্য, দেশের স্বার্থ এবং দেশের উন্নয়নের করনীয় সকল বিষয়গুলো তাদের কাছে পৌছে দিবে একজন দায়িত্ববান শিক্ষক। সমাজে ন্যায় বিচার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে গেলে প্রয়োজন আলোকিত মানুষ আর সে আলোকিত মানুষ গড়ার মূল কারিগর হচ্ছে শিক্ষক। যদি কখন কোন কারনে সমাজে বিশৃংখল পরিবেশ বা হানাহানি দেখা দেয় সেটা থেকে পরিত্রানের জন্য যারা অগ্রনী ভূমিকা পালন করবে ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকেও তারা সমাজের অত্যন্ত মর্যাদাবান মানুষ।
তাই শিক্ষকরাই পারে এ ধরনের বিশৃংখল পরিবেশ বা হানাহানি রোধ করতে তাই এক্ষেত্রেও তাদের অগ্রনী ভূমিকা পালন করতে হবে। আর রাজধানী ঢাকায় বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় শিক্ষার্থীরা নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে, তাদের সাথে আমরাও সমব্যাথী। সরকার শিক্ষার্থীদের সব দাবি মেনে নিয়েছে। কিছু দাবি আছে, তা মানতে সময় প্রয়োজন। তারা আমাদেরই সন্তান, আমাদেরই ভাই-বোন। আমাদের কোমলমতি ছেলেমেয়েরা অত্যন্ত মেধাবী এবং সুশিক্ষায় শিক্ষিত।
তাই আমাদের অনুরোধ তারা ধৈর্য ধারন করে, ঘরে ফিরে যাবে। “শিক্ষার আলো জ্বালবো, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়বো” শিরোনামে আজ ৬ আগস্ট (সোমবার) নাঙ্গলকোট উপজেলার সকল পর্যায়ের শিক্ষক শিক্ষিকাদের সাথে শিক্ষার মান উন্নয়ন শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাননীয় পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এসব কথা বলেন।
মাননীয় মন্ত্রী আরো বলেন, একটি উন্নত দেশ ও জাতি গঠনে শিক্ষার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং তার প্রমাণ লিখে বা বলে শেষ করা যাবে না। সমগ্র বিশ্বের দিকে খেয়াল করলে আমরা দেখতে পাই, যে জাতি বা দেশের শিক্ষার অবকাঠামো ও শিক্ষার সামগ্রিক পরিবেশ যত উন্নত, দেশ ও জাতি হিসেবে সার্বিকভাবে তারাই উন্নত ও স্বয়ংসম্পন্ন।
আর জঙ্গিমুক্ত, মাদকমুক্ত, সমাজ গঠনেও শিক্ষকদের অনেক ভূমিকা রয়েছে। শিক্ষকরাই পারেন একটি সমাজকে সুন্দর ও ছন্দময় করে তুলতে। বর্তমান সরকার শিক্ষার উন্নয়নে অত্যন্ত আন্তরিক এবং অসংখ্য গুরুত্বপূর্ন পদক্ষেপ গ্রহন করেছে। বছরের প্রথম দিন শিক্ষার্থীরা নতুন বই পাচ্ছে। বিশ্বের কোথাও বিনামূল্যে বই বিতরনের নজির নেই।
শিক্ষকদের দূর্দশার কথা শুনে প্রাথমিক শিক্ষাকে জাতিয়করন করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ২৬ হাজার ১’শ ৯২ স্কুলকে জাতিয়করন করেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ও তত্ত্বাবধানে মাঠ পর্যায়ের স্কুল গুলোতেও প্রান ফিরে পেয়েছে।
শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রশাসনিক সংস্কারসহ মাঠ পর্যায়ে পদবী/বেতন ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা প্রণয়ন করে শিক্ষার জগতে এনেছেন এক অভূতপূর্ব পরিবর্তন। ভাবতেও ভালো লাগে যে, আজ গরীব দিন মজুরের সন্তানও বিনা মূল্যে বই পেয়ে হাসতে হাসতে স্কুলে যাচ্ছে।
Leave a Reply