বুড়িচং প্রতিনিধি:
এড আবুল হাসেম খাঁন কে নমিনেশন দেওয়ায়,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা কে ধন্যবাদ । শনিবার দুপুর ১ টায় কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন তার ফেসবুকে আইডে থেকে এই পোস্ট দেন । তিনি কুমিল্লা -৫ আসনে আওয়ালীগের মনোনয়ন প্রত্যাশি ছিলেন । তবে তিনি আগেই বলেছেন দলের সিদ্ধান্তের বাইরে যাবেন না। এমন সিদ্ধান্তে তার নেতা কর্মীরা হতাশ হলেও আগামী সংসদ নির্বাচনের দলের মনোনয়ন পাবেন বলে প্রত্যাশা করেছেন ।
তবে সকল জল্পনা কল্পনা অবসান ঘটিয়ে কুমিল্লা -৫ (বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া) আসনে মনোনয় পেলেন প্রয়াত মতিন খসরুর অন্যতম রাজনৈতিক শিষ্য বুড়িচং উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আবুল হাশেম খান।
শনিবার (১২ জুন) সকাল ১১ টায় আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের সভায় এই আসনের চুড়ান্ত প্রার্থী নির্ধারণ করে আওয়ামী লীগ সংসদীয় বোর্ডের সভাপতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন
নির্বাচন কমিশন গত ২ জুন এই আসনের উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে। তফসিল অনুযায়ী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ আগামী ১৫ জুন। তফসিল ঘোষণার সময় উপ-নির্বাচনে ভোট গ্রহণের তারিখ ১৪ জুলাই নির্ধারণ করা হলেও দেশে করোনা সংক্রমণ অতিমাত্রায় বেড়ে যাওয়ায় ইসি ভোট গ্রহণের তারিখ পুনর্র্নিধারণ করেছে। নতুন তারিখ অনুযায়ী, আগামী ২৮ জুলাই এই আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। তবে তফসিল অনুযায়ী অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা অপরিবর্তিত থাকবে।
বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার ১৭টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত কুমিল্লা-৫ সংসদীয় আসনে ভোট রয়েছে ৩ লাখ ৬৮ হাজার ৬শ ৮০জন। আব্দুল মতিন খসরু জীবত থাকাকালীন দলীয় কোন্দলে ভারাক্রান্ত ছিল বুড়িচং উপজেলা আওয়ামী লীগ। ৩ বছরে এই উপজেলা ৪ টি কমিটি গঠন করে । এই নিয়ে কুমিল্লা (দ.) জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল (এমপি) এবং কুমিল্লা (দ.) জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক রেলপথ মন্ত্রী মো. মুজিবুল হক (এমপি) ও বেশ চিন্তিত ছিলেন । তবে ধারণা করা হচ্ছে আসন্ন উপনির্বাচন ও দলীয় কোন্দল কাল হতে পারে নৌকা মনোনীত প্রার্থীর ।
১৪ এপ্রিল কুমিল্লা-৫ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন খসরু মারা যান। ২১ এপ্রিল আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। তিনি এ আসন থেকে মোট ৫ বার (১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০৯, ২০১৪ ও ২০১৮) সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। এ ছাড়া বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতির দায়িত্ব পালনসহ দেশ ও এলাকার উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রেখে গেছেন।
Leave a Reply